চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে চাকসু নির্বাচন ঘিরে উৎসবমুখর আবহ। প্রার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আলোচনায় রয়েছে ভোটের পরিবেশ আর গণনা পদ্ধতি।
ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকেই চাকসু নির্বাচন ঘিরে নতুন করে ভাবছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আগামী ১২ অক্টোবর চাকসুর ভোট হবে ওএমআর ব্যালটে। ভোট শেষে মেশিনে দ্রুত গণনা করে জানানো হবে ফলাফল। ভোট গ্রহণ থেকে ফলাফল প্রকাশ পর্যন্ত কিভাবে দ্রুত ও স্বচ্ছতার সাথে করা যায় তার উপায় খুঁজছে নির্বাচন কমিশনও।
নির্বাচন কমিশন জানায়, মনোনয়ন জমা ও প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরই প্রয়োজনীয় ব্যালট ছাপানো হবে। তখন শুরু হবে ওএমআর ব্যালট ছাপানোর কার্যক্রম। আর বিতর্ক এড়াতে ভোটের দিন সকালে ব্যালট পৌঁছে দেয়া হবে কেন্দ্রে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে চাকসু নির্বাচনে প্রতিটি পদের জন্য আলাদা ব্যালট বাক্স রাখার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে বলে জানান কমিশনার।
চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার মনির উদ্দীন বলেন, ‘ভোটের ব্যালট যদি আইসোলেটেড করি সেটা জমা দেয়ার ক্ষেত্রে তখনই আমাদের সর্টিংটা হয়ে গেলো। তাহলে আমাদের সর্টিং করার জন্য যে সময় বা সমস্যাটা লাগবে না। ভোট নেয়ার পরপরই আমরা গোনার কাজে চলে যেতে পারবো।’
আরও পড়ুন:
অধিকাংশ শিক্ষার্থীরাও ওএমআর এবং মেশিনের মাধ্যমে দ্রুত গণনার পক্ষে। তবে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে নিরবচ্ছিন্ন বড় পর্দায় তা প্রচারের দাবি তুলেছেন তারা।
শিক্ষার্থীরা জানান, তারা চান ভোট গণনা স্বচ্ছ হোক। সিসিটিভির আওতায় বড় পর্দায় ভোট গণনা দেখানো হোক। জাকসুর মতো বিলম্ব না করে কিভাবে দ্রুত ও স্বচ্ছতার সঙ্গে ভোট গণনা করা যায় সে বিষয়ে প্রশাসনের যথাযথ পদক্ষেপ চান তারা।
ভোট গণনা কার্যক্রম সিসিটিভির আওতায় এনে তা গণনা কক্ষের বাইরে বড় পর্দায় প্রদর্শনের উদ্যোগও নিয়েছে প্রশাসন। পাশাপাশি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেও প্রচারের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন।
চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের সদস্য সচিব ও কমিশনার আরিফুল হক সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি যদি এলইডি স্ক্রিন রাখবোই তাহলে সকাল থেকে রাখবো না কেন। আমাকে তো ভাড়া দিতেই হবে। আমি সকাল থেকে যতক্ষণ ভোট কাস্টিং হবে আমি এটা রাখলে অসুবিধা কোথায়।’
প্রায় তিন যুগ পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া চাকসু নির্বাচনে ২৭ হাজার ৬৩৪ শিক্ষার্থী ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন। নির্বাচনকে ঘিরে যে উৎসবমুখর আবহ তৈরি হয়েছে তা যেন ভোট গণনায় অসঙ্গতি বা ত্রুটির কারণে মলিন না হয় সে দাবি ভোটারদের।





