ভোট শুরুর আগে প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট ও গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে ব্যালট বাক্স খালি দেখিয়ে সিলগালা করা হয়। নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী আনুষ্ঠানিকভাবে বাক্স সিলগালার কাজ সম্পন্ন করেন।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ১৮ হাজার ৯৫৯ জন এবং ছাত্র ২০ হাজার ৯১৫ জন। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৮টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৭১ জন প্রার্থী, আর ১৮টি হলে ২৩৪টি পদের জন্য লড়ছেন ১ হাজার ৩৫ জন প্রার্থী।
ভোট হচ্ছে অপটিক্যাল মার্ক রিকগনিশন (ওএমআর) শিটে। ডাকসু ও হল সংসদ মিলিয়ে একজন ভোটারকে ৪১টি ভোট দিতে হবে। ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৫ জন, জিএস পদে ১৯ জন এবং এজিএস পদে ২৫ জন প্রার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবার প্রথমবারের মতো আবাসিক হলের বাইরে ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে। ক্যাম্পাসের নির্ধারিত আটটি কেন্দ্রে মোট ৮১০টি বুথে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় কেন্দ্র উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, যেখানে চারটি হলের ৬ হাজার ১৫৫ শিক্ষার্থী ভোট দেবেন। এছাড়া টিএসসি, কার্জন হল, সিনেট ভবন, জগন্নাথ হল, ভূতত্ত্ব বিভাগ, ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবকেও কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন জানিয়েছেন, বিকেল ৪টার মধ্যে যারা কেন্দ্রের আঙিনায় প্রবেশ করবেন, তারা সবাই ভোট দিতে পারবেন।
বিশেষ ব্যবস্থার অংশ হিসেবে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রথমবারের মতো ব্রেইল পদ্ধতিতে ভোট দেয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। যেসব শিক্ষার্থী ব্রেইল পড়তে পারেন না, তারা সহায়তা নিয়ে ভোট দিতে পারবেন।
নির্বাচনে আংশিক ও পূর্ণাঙ্গ মিলে অন্তত ১০টি প্যানেল অংশ নিচ্ছে। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সমর্থিত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ, স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য এবং বামপন্থি ছাত্রসংগঠনের প্রতিরোধ পর্ষদ প্যানেলের মধ্যে।





