দেশব্যাপী নিষিদ্ধ পলিথিনের উৎপাদন, পরিবহন ও বিপণন বন্ধে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৫ ও পরিবেশ অধিদপ্তর রাজশাহীতে বিশেষ অভিযান ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এরই অংশ হিসেবে আজ (সোমবার, ১৮ আগস্ট) বেলা ১২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে রাজশাহীর হড়গ্রাম বাজার ও কাটাখালি বাজারে ৪টি দোকান ও একটি কারখানা থেকে প্রায় ৩ টন পলিথিন জব্দ ও ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রাজশাহী র্যাব-৫ এর মেজর রাজেক, সিনিয়র এএসপি রফিকুল ইসলাম ও রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তাছমিনা খাতুনের নেতৃত্বে এ যৌথ অভিযান চলে। অভিযানে র্যাব-৫ এর ৪টি টিম কাজ করেছে।
এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক তাছমিনা খাতুন। তার পরিচালনায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অবৈধভাবে পলিথিন বিক্রি, মজুদ ও তৈরির অভিযোগে নগরীর হড়গ্রাম বাজারে রক্তিম অন-টাইম স্টোর থেকে ২০০ কেজি পলিথিন ব্যাগ জব্দসহ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন:
বি.এন. স্টোর থেকে ১ হাজার কেজি পলিথিন ব্যাগ জব্দ ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। শহিদ স্টোর থেকে ১৫০ কেজি পলিথিন জব্দ ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, বেল্লাল স্টোর থেকে ১ হাজার ৫০০ কেজি পলিথিন জব্দসহ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এরপর বেলা ৩টায় নগরীর কাটাখালি বাজারের তেঁতুলতলায় শুভ প্যাকেজিং কারখানায় অভিযান চালিয়ে পলিথিন তৈরির কাঁচামাল ৬২ বস্তা পিপি দানাসহ ১৫০ কেজি পলিথিন ব্যাগ জব্দ করা হয়েছে। সেখানেও অবৈধভাবে পলিথিন তৈরির অভিযোগে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে কারখানাটি সিলগালা করা হয়।
এ সময় বিক্রেতারা জানান, সরকার পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে এটা তারা জানতেন না। পলিথিন পরিবেশের জন্য ক্ষতি, যেখানে এগুলো তৈরি সেটি বন্ধ করলে আজকে তাদের এতগুলো টাকা ক্ষতি হতো না। পলিথিন জব্দ ও জরিমানা করায় অনেকেই নিঃস্ব হওয়ার কথাও জানান।
অভিযান পরিচালনা শেষে পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জানান, পরিবেশকে ভালো রাখার জন্যই তাদের নিয়মিত এ অভিযান। পলিথিন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় এর ব্যবহার ও উৎপাদন বিরোধী অভিযান চলমান রয়েছে। অবৈধভাবে পলিথিন বিক্রি ও উৎপাদন করায় তাদেরকে সতর্ক করে পলিথিন জব্দ ও জরিমানা করা হয়েছে। পলিথিন বিক্রি ও উৎপাদন কাজ বন্ধ করে নতুন কিছু করার জন্য সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাসও দেন তিনি।





