১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সামরিক প্রয়োজনে নির্মিত সৈয়দপুর বিমানবন্দর। এক সময় পর্যন্ত পরিত্যক্ত থাকলেও ১৯৭৯ সালে শুরু হয় যাত্রীবাহী বিমান চলাচল।
এরপর নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে সৈয়দপুর রুটে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করছে দেশি-বেসরকারি ৪টি এয়ারলাইন্স।
ঢাকার পাশাপাশি এখন সৈয়দপুর থেকে সরাসরি আকাশপথে যোগাযোগ রয়েছে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের সঙ্গে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্য যেমন সহজ হয়েছে, তেমনি পর্যটকদের জন্যও সুবিধা বেড়েছে কয়েকগুণ।
২০১৭ সালে এই বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক করার ঘোষণা দেয়া হয়। লক্ষ্য ছিল ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে সহজ বাণিজ্যিক যোগাযোগ। কিন্তু ২০১৯ সালে ফিল্ড বুক সম্পন্ন হলেও ৯১২ একর জমি অধিগ্রহণের কাজ এখনও শুরু হয়নি।
বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক হলে ছয় হাজার ফুটের রানওয়ে উন্নীত হবে ১২ হাজার ফুটে। এর ফলে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, চীনসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করা যাবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
এটি হলে একদিকে যেমন ব্যবসার পরিধি বাড়বে, অন্যদিকে পড়াশোনা ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পাবেন এই অঞ্চলের মানুষ।
রংপুর বিভাগে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মূল মাধ্যম দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ। উত্তরা ইপিজেডের মাধ্যমে কিছু বিদেশি বিনিয়োগ হলেও তা যথেষ্ট নয়। বিশ্লেষকদের মতে, সৈয়দপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তর হলে বিদেশি বিনিয়োগের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হবে।
বিডাও উত্তরাঞ্চলে বিদেশি বিনিয়োগের বিষয়ে আশাবাদী। সেজন্য সৈয়দপুরকে অতি দ্রুত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করার তাগিদ কর্মকর্তাদের।
গেল কয়েক বছরে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের যাত্রীসেবায় এসেছে পরিবর্তন। টার্মিনাল ভবন আধুনিকায়ন, লাগেজ বেল্ট স্থাপনসহ নানা সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।