অপারেশন গিডিয়নস চ্যারিয়ট: শুক্রবার প্রাণ হারিয়েছেন দেড়শ' ফিলিস্তিনি

ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা | ছবি: সংগৃহীত
0

ইসরাইলের অপারেশন গিডিয়নস চ্যারিয়টের প্রথম ধাপে শুক্রবার প্রাণ হারিয়েছেন দেড়শ' ফিলিস্তিনি। গাজায় হামলার তীব্রতা বাড়ানোয় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব। আজ (শনিবার, ১৭ মে) ইরাকে আয়োজিত আরব সম্মেলন থেকে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন আরব নেতারা। এরমধ্যেই আলোচনা এসেছে ১০ লাখ গাজাবাসীকে লিবিয়ায় স্থানান্তরে মার্কিন পরিকল্পনার বিষয়ে।

শুক্রবার প্রতি চার মিনিট পরপর গাজায় একবার বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। অপারেশনস গিডিয়নস চ্যারিয়টের শুরুতেই হামলার তীব্রতা বাড়ায় আইডিএফ।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটি পুরোপুরি দখল করতে এই অভিযান। হামাস নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত চলবে এই অভিযান। এমনকি হুতিদের হামলার জবাবে শুক্রবার ইয়েমেনের হোদেইদাহ ও আস সালিফ বন্দরে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।

বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘এটি অভিযানের শুরু মাত্র। সামনে এমন আরও অভিযান পরিচালনা করা হবে। হামাস ও হিজবুল্লাহ প্রধানকে যেভাবে নিঃশেষ করা হয়েছে, আব্দুল মালিক আল হুতির জন্যেও একই পরিণতি অপেক্ষা করছে। ইসরাইলকে রক্ষায় যা প্রয়োজন, তার সবকিছুই করা হবে।’

ইসরাইলি আগ্রাসন এবং অবরোধে চরম সংকটে পড়া গাজায় দ্রুত যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান আরব নেতাদের। এক দশকের বেশি সময় পর শনিবার ইরাকে আয়োজিত আরব সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তারা।

মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ আল-সিসি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে, শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করা জন্য একজন নেতা হিসেবে মনে করি। তাই গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রচেষ্টা এবং চাপ প্রয়োগ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

ইসরাইল হামলার মাত্রা বাড়ানোয় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

তিনি বলেন, ‘ইসরাইলের স্থল অভিযান এবং আরও অনেক কিছু সম্প্রসারণের পরিকল্পনার খবরে আমি উদ্বিগ্ন। এবং আমি জোর দিয়ে বলছি যে জাতিসংঘ এমন কোনও অভিযানে অংশগ্রহণ করবে না যা আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবতা, নিরপেক্ষতা, স্বাধীনতা এবং নিরপেক্ষতার নীতি মেনে চলে না।’

এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ১০ লাখ গাজাবাসীকে লিবিয়ায় স্থানান্তরের পরিকল্পনায় ট্রাম্প প্রশাসন কাজ করছে বলে খবর প্রকাশ করেছে এনবিসি নিউজ। তবে ইসরাইলি অবরোধে লাখ লাখ গাজাবাসী ক্ষুধার যন্ত্রণা ভোগ করছে উল্লেখ করে, ফিলিস্তিনিদের সাহায্য করা জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তিনি বলেন, ‘দেখা যাক সামনে কী হবে। আমার মতে মতে ভবিষ্যতে ভালো কিছু অপেক্ষা করছে। ফিলিস্তিনিদের সাহায্য করতে হবে। আপনারা জানেন অনেক ফিলিস্তিনি ক্ষুধায় দিন পার করছে। তাই আমাদের দুই দিকই দেখতে হবে। যদিও আমরা ভালো কাজ করছি।’

ট্রাম্পের চার দিনের মধ্যপ্রাচ্য সফরকালে ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন সাড়ে তিন শতাধিক ফিলিস্তিনি। এতে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত নিহত বেড়ে অন্তত ৫৩ হাজার।

এসএস