বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বিষখালী নদীর ব্রিক ফিল্ড পয়েন্ট। সবশেষ গেল বছর ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই পয়েন্ট, এখনো ঝুঁকিপূর্ণ এর ৬৫০ মিটার এলাকা। তবে এক বছরেও মেরামত হয়নি এসব এলাকা।
একই চিত্র দেখা যায় বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর এবং বরিশাল সদরের বেড়িবাঁধগুলোর বিভিন্ন পয়েন্টে। প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এসব বাঁধের বিভিন্ন অংশ। লোকালয়ে পানি ঢুকে নষ্ট হয় ফসলি জমি, বন্যায় সব হারিয়ে নিঃস্ব হয় অনেক পরিবার। এ অবস্থায় ঘূর্ণিঝড় প্রবণ বর্ষা মৌসুমের আগে এসব বাঁধ সংস্কারের দাবি স্থানীয়দের।
বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা ও পিরোজপুরের বেড়িবাঁধগুলো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন প্রকৌশলী।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্থান ও গুরুত্ব ভেদে বেড়িবাঁধ নির্মাণে ভিন্নতা রয়েছে। উপকূলীয় স্থানের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দ্রুত স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রতি জোর দেন তারা।
বরিশাল বিভাগে পোল্ডারের সংখ্যা ৭৯টি। বাঁধের দৈর্ঘ্য ৩ হাজার ২৫৬ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৪৩টি পোল্ডার বিভিন্ন পয়েন্ট ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। কিলোমিটারের হিসেবে যা প্রায় ১৯৭ কিলোমিটার।
নকশা অনুসারে এই বেড়িবাঁধ তৈরির নিয়ম শুধুমাত্র মাটি দিয়ে। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ মাটির সাথে মেশানো হয় বালিও। অভিযোগের এখানেই শেষ নয়। বেড়িবাঁধের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা এখানেও রয়েছে সূক্ষ্ম কারচুপি। আর এসব কারণে শুধু ঘূর্ণিঝড়ই নয়, অমাবস্যা এবং পূর্ণিমার জোয়ারের সময়েও ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেড়িবাঁধ। আর এ সমস্যা সমাধানে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবী উঠেছে।