দিন বদলেছে অনেক। আবাহনী-মোহামেডানের সেই দ্বৈরথ আর নেই। ক্রিকেট মাঠের সেই পাগলাটে দর্শকও আর নেই। তাই তো ঢাকাই ক্রিকেটের শীর্ষ দুই দলের লড়াইয়ের দিনও খাঁ খাঁ করে মিরপুরের গ্যালারি। হাতে গোনা ক'জন দর্শক, কিন্তু বোঝার উপায় নেই কে কোন দলের সমর্থক!
অথচ এই ম্যাচের চিত্র এমন ছিল না। ক্রীড়াঙ্গনের স্বর্ণালী সময়ে পুরো দেশ দুই ভাগে ভাগ হয়ে যেতো। সেখান থেকে এই হাল কেন?
সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক সেকান্দার আলী বলেন, ‘ওয়ানডে হচ্ছে ৮ ঘণ্টার খেলা সেটা এখন আর মানুষকে টানে না। আরেকটা হচ্ছে যে খেলা টেলিভিশনে ব্রডকাস্ট হচ্ছে সে খেলা মানুষ টেলিভিশনেই দেখে ফেলে।’
মোহামেডান ক্লাব কর্মকর্তা সাজ্জাদ আহমেদ শিপন বলেন, ‘আগে যখন খেলা হতো তখন সেটা ঢাকা স্টেডিয়ামে খেলা হতো। যখন থেকে শিফট হয়ে এই খেলা মিরপুরে আসে সেদিন থেকে আমাদের দর্শক সংখ্যা কমে গিয়েছে।’
খেলায় মাঠের দর্শক হারালেও ক্রিকেটার-কর্মকর্তাদের কাছে বিন্দুমাত্র কমেনি ম্যাচের গুরুত্ব।
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয় বলেন, ‘আবাহনী-মোহামেডান যে প্রতিদ্বন্দ্বী তা বোঝা যায় এই ডিপিএলে। আমার মনে হয় অনেক প্লেয়ার আন্তর্জাতিকে এতোটা এফোট দেয় না যতটা আজকে আমাদের ডিপিলে দিয়েছে।’
বর্তমান সময়ে যেকোনো কাজেই বিপণন বড় ভূমিকা রাখে। মিরপুরে হোম অফ ক্রিকেট ঘুরে খুঁজে পাওয়া গেল না দেশের একমাত্র লিস্ট এ টুর্নামেন্টের কোন ব্যানার -ফেস্টুন বা বিলবোর্ড।
যদিও জৌলুস কমার পেছনে বিসিবির সাথে ক্লাবগুলোর দায় দেখেন সিনিয়র এই ক্রীড়া সাংবাদিক।