অঘোষিত বাণিজ্য যুদ্ধে মেতেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। অস্ত্র নয় বরং শুল্কের বিপরীতে পাল্টা শুল্ক দিয়ে টালমাটাল করে দিচ্ছেন আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতির।
চীনের ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর এই দুই পরাশক্তির বাণিজ্য যুদ্ধের গতি যেন আরও ত্বরান্বিত হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা লাভের চেয়ে তাদের অর্থের নিরাপত্তাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন বলে মত বিশ্লেষকদের।
এ পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ হারাচ্ছে স্টক মার্কেট। ফলে ফের নিম্নমুখী হয়ে পড়েছে মার্কিন শেয়ারের বাজার। বৃহস্পতিবারও দর কমেছে যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ তিনটি ইনডেক্স নাসডাক, এস এন্ড পি ফাইভ হান্ড্রেড ও ডাও জোন্সের।
নাসডাকে দর কমেছে ৪ দশমিক ৩১ শতাংশ, এস এন্ড পি ফাইভ হান্ড্রেডের তিন দশমিক ৪৬ শতাংশ ও ডাও জোন্সের কমেছে দুই দশমিক ৫ শতাংশ।
একই পরিস্থিতি এশিয়ার শেয়ার বাজারেও। দর কমেছে জাপানের নিক্কি, হংকং এর হেং সিং, সাউথ কোরিয়ার কোস্পি স্টক মার্কেটের।
এক দিকে যখন শেয়ার বাজার নিম্নমুখী তখন রেকর্ড ছুঁয়েছে স্বর্ণের দরও। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স সোনার দর ছাড়িয়েছে ৩তিন হাজার দুইশ ডলার।
২০২৩ সালের পর এ পর্যন্ত দুই দফায় স্বর্ণের দর বেড়েছে দুই শতাংশের বেশি। কেবল গেল দুই দিনের ব্যবধানেই দর বেড়েছে একশ ডলার। নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবেই মানুষ স্বর্ণকে বেছে নিচ্ছে বলেও মত বিশ্লেষকদের।
এদিকে স্বর্ণের দর উর্ধ্বমুখী থাকলেও, বিশ্ববাজারে কমেছে ডলারের দরও।