মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম রুহুল আমিন (৩৫)। তিনি মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী থানার পশ্চিম বেতকা গ্রামের আব্দুল মজিদ মিয়ার ছেলে। ঘটনার পর থেকেই রুহুল আমিন পলাতক। তিনি টঙ্গীর শিলমুন পশ্চিমপাড়া এলাকার জনৈক মজিবুর রহমানের ভাড়া বাড়িতে বাস করতেন এবং মুড়ি বিক্রি করতেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত রুহুল আমিন পেশায় একজন মুড়ি বিক্রেতা। নির্যাতিতা শিশুটি ওই এলাকার একটি ভাড়া বাসায় পরিবারের সঙ্গে বাস করতো। রুহুল আমিন শিশুটির পাশের বাসায় একাই বসবাস করতেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে শিশুকে নিজ কক্ষে ময়লা পরিষ্কার করতে ডেকে নিয়ে যায় রুহুল আমিন। পরে তাকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়ারা জানতে পারলে রুহুল আমিন পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় মতিউর রহমান মতি নামক এক ব্যক্তি ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে সালিশের আয়োজন করেন। সালিশে নির্যাতিতা শিশুটির বাবাকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। তবে ঘটনার ১১ দিন পর নির্যাতিতা শিশুটির বাবা থানায় মামলা দায়ের করেন।
নির্যাতিতা শিশুটির বাবা বলেন, 'নির্যাতনের ঘটনার পর স্থানীয় মতিউর রহমান ওরফে কারেন্ট মতি ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে আমাকে দেড় লাখ টাকা দেয়ার কথা জানায়। আমি টাকা না নিয়ে থানায় মামলা করেছি।'
যদিও বিষয়টি জানতে মতিউর রহমান মতির মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম বলেন, 'ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে শিশুটির বাবা। তবে সালিশ বসিয়ে টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দেয়ার বিষয়টি আমাদের জানা নেই। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।'





