ইসরাইলি বন্দি মুক্তির শর্তে নেতজারিম করিডোর খুললো ইসরাইল

0

যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী এ সপ্তাহে ৬ ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দেয়ার শর্তে গাজার উত্তরাঞ্চলে প্রবেশে নেতজারিম করিডোর খুলে দিলো ইসরাইল। দীর্ঘ অপেক্ষার পর নিজ ভূমিতে ফিরছেন বাস্তুচ্যুত সাড়ে ৬ লাখ ফিলিস্তিনি। তবে ধংসস্তুপের মধ্যে কীভাবে জীবন যাপন করবেন সেটাই এখন বড় চ্যালঞ্জ।

দীর্ঘ অপেক্ষার সমাপ্তি ঘটিয়ে এবার নেতজারিম করিডর দিয়ে গাজার উত্তরাঞ্চলে নিজ ভূমিতে ফিরছেন লাখো ফিলিস্তিনি। আজ (সোমবার, ২৭ জানুয়ারি) সকাল থেকে আল-রশিদ স্ট্রীটে পায়ে হেঁটে প্রবেশ করেন তারা। অনিশ্চয়তাকে মাথায় নিয়ে খুশি মনে সেখানেই শুরু করতে চান নতুন জীবন।

ফিলিস্তিনিদের একজন বলেন, ‘শপথ করে বলছি, ভেতরে ভেতরে আমি শেষ হয়ে যাচ্ছি। তারপরও অন্য কোথাও যেতে চাই না। খান ইউনিস, আল-বালাহ কিংবা অন্য কোথাও না। যদি আমাকে এখানে মরতেও হয়, মরবো এবং সিদ্ধান্তে অটল আমি।’

এর আগে উত্তরাঞ্চলে প্রবেশে নেতজারিম করিডরের সামনে টানা ২ রাত খোলা আকাশের নিচে অপেক্ষা করে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ ফিলিস্তিনি। যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, এ সপ্তাহে ৬ ইসরাইলি বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ অঞ্চলে প্রবেশের সুযোগ পান তারা।

গাজার উত্তরাঞ্চলে এতো বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনি যাচ্ছে ঠিকই তাদের সামনে কী কঠিন দিন অপেক্ষা করছে তারা নিজেরাও জানেনা। কারণ রেখে আসা সাজানো বাড়িঘর এখন কেবলই ধংসস্তুপ। ছিমছিম উপত্যকাটিতে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে ইসরাইলি সেনারা। নেই জীবন ধারণের কোন সুযোগ।

ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘বিশ্ববাসীকে আমাদের পরিস্থিতি একটু বুঝার অনুরোধ জানাচ্ছি। সবাই যেন সহায়তার হাত বাড়ান। বাড়ি-ঘর কিছুই নেই আমাদের। মানসিক ও শারিরীক স্বাস্থ্যের অবস্থাও ভালো না কারো। আমাদের বাড়ি-ঘর ফিরিয়ে দেয়ার আর্জি জানাচ্ছি।’

অবশ্য ইসরাইলকে গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে সব ধংসস্তুপ সরিয়ে নিতে বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফিলিস্তিনিদের জন্য এ অঞ্চলকে বসবাসযোগ্য করে দিতে চান তিনি। 

ইএ