রোববার মধ্যরাতে মিরপুর-৬ নম্বরে বাটা শো-রুমে আগুন লাগে। দোতলা ভবনের নিচতলায় আগুনের সূত্রপাত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেলা ১২টার কিছু আগে শো-রুমের ভেতর থেকে ধোঁয়া দেখতে পান তারা।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, 'শো-রুমের বাটার যে ব্যানার, সেখান থেকে হালকা ধোঁয়া বের হচ্ছিল। ওই অবস্থায় আমরা সেখানে দাঁড়িয়ে কিছু লোক ছিলাম, সাথে সাথেই ফায়ার সার্ভিসকে ফোন করা হয় ৯৯৯ এর মাধ্যমে।'
শোরুম কর্তৃপক্ষ বলছে, শো-রুমটিতে আড়াই কোটি টাকার মতো মালামাল ছিল। যার পুরোটাই পুড়ে শেষ। যদিও এখনও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যায়নি। তবে বাড়ির মালিক শঙ্কা প্রকাশ করে জানান, ভবন নিয়ে ঝামেলা চলছে। আগুন লাগানো হয়েছে কি-না সেটি খতিয়ে দেখার বিষয়।
শো-রুমের ম্যানেজার বলেন, 'আমার এখানে প্রায় আড়াই কোটি টাকার প্রোডাক্ট আছে। ফার্নিচার আছে। এখন তো সবই শেষ। আমি এখনো বলতে পারি না যে কীভাবে আগুন লাগছে। আমি এসে দেখি ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে।'
বাড়ির মালিক বলেন, 'এখন বুঝতে পারছি না কীভাবে হয়েছে। কেউ লাগিয়েছে কি না। কারণ আমাদের একটু ঝামেলা আছে।'
এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট। পরে ছয়টি ইউনিটের দেড় ঘণ্টার বেশি সময়ের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এসময় ভিতরে সরু রাস্তা ও রাবার জাতীয় পদার্থের কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেয়ে হয়।
ঢাকা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান বলেন, '১টা ৩৫ এর মধ্যে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারি। কিন্তু যেহেতু এখানে জুতা অনেক বেশি এবং জুতার গুদাম ছিল, এবং গুদামটা অনেক ভেতরে। সেই ভেতরে যাওয়ার রাস্তা খুবই সরু ছিল। যার কারণে আগুন নিভাতে আমাদের একটু বেগ পেতে হচ্ছিল। আর রাবার জাতীয় পদার্থ থেকে প্রচণ্ড আকারে ধোঁয়ার সৃষ্টি হচ্ছিল। আগুনের সূত্রপাত এখনও আমরা বলতে পারবো না। হয়তোবা বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণেও হতে পারে। যেহেতু এখানে বিদ্যুৎ চালু অবস্থায় ছিল। পরে বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করা হয়েছিল।
এর আগেও এই শো-রুমে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট হয়েছিল বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।