অর্থনীতি
0

বাণিজ্য মেলা: ছুটির দিন ছাড়া ক্রেতা-দর্শনার্থীর উপস্থিতি কম

বাণিজ্য মেলার অর্ধেক সময় গড়ালেও ছুটির দিন ছাড়া জমছে না মেলা প্রাঙ্গণ। তবে বিশেষ কিছু স্টলে ক্রেতা-দর্শনার্থীর রয়েছে ভিড়।‌ স্টিলের রেডিমেট বাড়ি বিক্রির স্টলে চলছে জমজমাট কেনাবেচাও। এদিকে, কয়েদিদের হাতে তৈরি কারাপণ্যের স্টলের ভিড় ও কেনা-বেচা জমজমাট।

মাসজুড়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার অর্ধেক সময় গড়িয়েও বিক্রেতাদের বিক্রি না থাকার অভিযোগ যেন শেষ হচ্ছে না। তবে প্রতিবারের মতো এবারও কোন কোন স্টল ঘিরে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের কৌতূহল ও বিক্রি ছিল বেশ।

স্টিলের রেডিমেট বাড়ি। ছবি: এখন টিভি

ছবিতে যে বাড়িটি দেখছেন সেটি কোনো শৌখিন বাড়ি নয়। এটি বাণিজ্য মেলার একটি স্টল, যেখানে আছে এ ধরনের বাড়ি নির্মাণের সমস্ত আয়োজন। তবে নির্মাণ সামগ্রীতে ব্যবহার হয়েছে ইটের বদলে স্টিল আর মাটির বদলে টাইলস, যা মেলার দর্শনার্থীদের কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

দর্শনার্থীদের একজন বলেন, ‘বাহির থেকে দেখে অনেক ভালো লেগেছে।’

আরেকজন বলেন, ‘আমার ইচ্ছা এমন একটি বাড়ি করবো। তাই ঘুরে ঘুরে দেখছি।’

এই বাড়িটি নির্মাণ করতে চাইলে গুণতে হবে প্রায় ১৪ লাখ টাকা। এছাড়া এক হাজার বর্গফুটের নিচে স্টিলের রেডিমেড ১ তলা বাড়ি তৈরিতে প্রতি বর্গফুটে খরচ পড়বে ২ হাজার ১শ' টাকা আর ১ হাজার বর্গফুটের উপরে হলে গুনতে হবে প্রতি বর্গফুটে ২ হাজার টাকা। আর দুই তলা বাড়ির ক্ষেত্রে প্রতি বর্গফুটে খরচ পড়বে ২ হাজার ৭০০ টাকা। ক্রেতাদের ভালো সাড়া পাচ্ছেন বলে জানালেন প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় কর্মী।

বিক্রয় প্রতিনিধি বলেন, ‘আমাদের স্টিলের কাঠামো দিয়ে আমরা বাড়িগুলো তৈরি করে দিচ্ছি। নিজের মতো করে ছোট বড় বাড়ি বানাতে পারবেন।’

বাণিজ্য মেলায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে কারাবন্দিদের হাতে তৈরি গৃহস্থালি উপকরণের স্টল 'কারাপণ্য'। বাঁশ, বেত, কাঠ ও পাটের তৈরি প্রায় ৪০০ পণ্যে সেজেছে পুরো প্যাভিলিয়ন। এই উদ্যোগ কয়েদিদের সংশোধনের পাশাপাশি সাজা শেষে জীবিকা নির্বাহের সুযোগ তৈরি করে দেবে বলে মনে করেন ক্রেতারা।

ক্রেতাদের একজন বলেন, ‘হাতের তৈরি ঘর সাজানো অনেক জিনিস রয়েছে। এইটা ভালো দেখতে তারা যে এমন কাজ করেছে।’

কারাপণ্যের স্টল ইনচার্জ বলেন, পণ্য বিক্রির লভ্যাংশের অর্ধেক কারাবন্দিদের দেওয়া হবে। এই অর্থ নিজের ও পরিবারের কাজে খরচ করতে পারবেন তারা। বাকি অর্ধেক অর্থ যাবে সরকারি কোষাগারে।

কারাপণ্যের স্টল ইনচার্জ সৈয়দ মো. জাভেদ হোসেন বলেন, ‘বন্দিরা পুনর্বাসিত হচ্ছে। তারা সংশোধিত হচ্ছে। এই ধারা অবাহ্যত রাখতে পারলে আমরা যে সামাজিক ব্যবসার কথা বলছি তা বাস্তবে রূপ দিতে পারবো।’

ছুটির দিন ছাড়া মেলা জমে না এমন অভিযোগ বিক্রেতাদের। তবে ক্রেতা-দর্শনার্থীরা বলছেন, রাজধানী থেকে বেশি দূরত্বের কারণে জমছে না বাণিজ্য মেলা।

এক মাসের বাণিজ্য মেলা ছুটির দিন বাদে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯ টা খোলা থাকে। আর ছুটির দিন চলে রাত দশটা পর্যন্ত।

ইএ