কুমিল্লা নগরীসহ আশপাশের এলাকায় তীব্র গ্যাস সংকট। ভোর থেকে রাত অবধি বেশিরভাগ এলাকার চুলায় জ্বলছে না আগুন।
গেল একমাস ধরে কুমিল্লার নগরীর নুরপুর, সংরাইশ, চকবাজার, চাঁনপুর, শুভপুরসহ নগরীর বেশিরভাগ এলাকায় গ্যাসের এই সংকট চরমে। রান্নার সময় গ্যাস না থাকায় বাধ্য হয়ে সিলিন্ডার গ্যাস আর মাটির চুলায় রান্না করতে বাধ্য হচ্ছেন গৃহিণীরা। একই অবস্থা হোটেল, রেস্তোরাঁগুলোতেও। সেখানেও গ্যাসের সংকট তৈরি হওয়ায় লোকসানে ব্যবসায়ীরা।
বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘গ্যাসের কারণে আমরা রান্না করতে পারি না। গ্যাস সারাদিন পাওয়া যায় না। খুব কষ্ট হচ্ছে রান্না করতে। গ্যাস বিল ঠিকই দেই।’
রেস্তোরাঁর একজন কর্মী বলেন, ‘সকালে অনেক কিছু রান্না করতে হয়। কিন্তু গ্যাসের চাপ না থাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ রান্নাও করতে পারি না। কাস্টমার ফিরে যায়।’
এদিকে, কুমিল্লার বিসিক শিল্প নগরী, ইপিজেডসহ জেলার ছোট-বড় বিভিন্ন শিল্প কারখানায় উৎপাদনে পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব। বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির আবাসিক, বাণিজ্যিক এবং শিল্প খাতের পাঁচ লক্ষাধিক গ্রাহক একই ভোগান্তিতে। স্বয়ং গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ক্যান্টিনেও রান্না হচ্ছে সিলিন্ডারে।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি কর্তৃপক্ষ বলছে, কুমিল্লাসহ ছয় জেলায় আবাসিক, সিএনজি ফিলিং স্টেশন, বিসিক শিল্পনগরী, ইপিজেড, সার কারখানা, ছোট-বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও বিদ্যুৎ স্টেশনকেন্দ্রসহ বিভিন্ন খাতের গ্রাহক রয়েছে। দিন দিন গ্যাসের চাহিদা বাড়লেও উৎপাদন বাড়ছে না।
কুমিল্লা বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘সরবরাহের কারণে কিছু কিছু জায়গায় গ্যাসের চাপ রয়েছে। আর শীতকালে ডাউনে এই সমস্যা আরো বেশি হয়। তবে এই সমস্যা সমাধানে কাজ চলছে।’
গ্যাসের সংকট নিরসনে বিভিন্ন সময় অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং পাইপলাইন অপসারণেও কমছে না অপরাধীদের দৌরাত্ম্য।