এক কোটি নতুন কর্মী বিএনপিতে যুক্ত করার ঘোষণা ছিল আগেই। বৃহস্পতিবার সেটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলো।
এদিন কুমিল্লা শিল্পকলায় সদস্য সংগ্রহ অভিযান ও নবায়ন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সাংগঠনিক বিভাগ কুমিল্লার নেতরা উপস্থিত ছিলেন। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে নতুনদের অংশীদারত্ব বাড়ানোর অঙ্গীকার করেন তারা।
শেষ বিকেলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস যুক্ত হয়ে মন্তব্য করেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বর্তমান সরকারের কাছে দেশ নিরাপদ নয়। জানান, করিডোর দেয়ার সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচিত সরকার।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমার স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিরাপদ নয় এ সরকারের হাতে। আমি আবারও বলছি, এই সরকারের হাতে আমার দেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতা নিরাপদ নয়। কোনো পরিস্থিতিতেই এই দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ওপর হুমকি আসবে যে করিডোর দিয়ে। আমরা সেই করিডোরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিবো। সেন্টমার্টিন বন্ধ করা হলো কেন?
বিএনপি চাঁদাবাজির সাথে নেই দাবি করে মির্জা আব্বাস জানান, আগে বিএনপির শত্রু ছিল শুধু আওয়ামী লীগ, এখন অনেক শত্রু।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘কিছু গোষ্ঠী আছে, কিছু লোক আছে, যারা সুযোগসন্ধানী। সুযোগ নিচ্ছে, চাঁদাবাজি করছে, দখলবাজি করছে আর বদনামটা বিএনপির ঘাড়ে আসছে। এখান থেকে আমাদের সাবধান থাকতে হবে। ওই শ্রেণির লোককে সদস্য করা যাবে না। আর ছদ্মবেশী আওয়ামী লীগ তো নয়ই।’
এদিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নিয়ে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান, স্বৈরাচারের বিদেশি বন্ধুরা এখনও ষড়যন্ত্র করছে। সরকারকে আরও সতর্ক হয়ে দেশ পরিচালনা করতে হবে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এই রাজনৈতিক শত্রুদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তা না হলে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে।’
এসময় হত্যাকাণ্ডের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাম্যের রাজনৈতিক শত্রুদের দ্রুত চিহ্নিত করার আহ্বান জানান তিনি।