প্রায় ২ দশক আগে শুরু হয় টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবনের নির্মাণকাজ। কথা ছিল, দেড় বছরে শেষ হবে নতুন ভবনের নির্মাণ ও পুরনো ভবনের সংস্কারকাজ। তবে ২০ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি ৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্প।
নির্মাণাধীন ভবন পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকায় ভুতুড়ে রূপ নিয়েছে। রোগী ও স্বজনরা বলছে, পুরাতন ভবনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে ফিরে যেতে হচ্ছে অনেক রোগীকে। এছাড়া ইকো, ইসিজির মেশিন না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা।
পুরাতন ভবনে জায়গা সংকটের কারণে অনেক মেশিন বসানো সম্ভব হচ্ছে না। এতে চিকিৎসা সেবা দিতে বেগ পেতে হচ্ছে দাবি চিকিৎসকদের।
আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা নাইম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘নতুন ভবন যদি চালু হয় তাহলে আমি বলব রোগীদের জন্য যে সুবিধা অনকে বড় একটা হাসপাতাল পাবে সেখানে বেশি রোগী ভর্তি থাকতে পারবে। ডাক্তারদের জন্য যে সুবিধাটা হবে প্রত্যেকে আলাদা রুমে আরেকটু জায়গা নিয়ে ভালোভাবে রোগী দেখতে পারবো।’
২০০৫ সালে কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। ওই বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর দুটি ৪ তলা, একটি দোতলা ও একটি একতলা ভবন নির্মাণ এবং পুরনো ভবন সংস্কারে কাজ শুরু করে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
২০০৬ সালের ঠিকাদার টাকা তুলে নিলেও এখনো বাকি ৬৮ শতাংশ কাজ। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, নানা কারণে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি।
ফোনকলে সোনার বাংলার হিসাব রক্ষক খন্দকার মেরাজ বলেন, চিফ ইঞ্জিনিয়ার পরিবর্তন হয়েছে। তারপর যোগাযোগ করলাম, কিন্তু আর কোনো সুরাহা হয় নি। আমাদের হিসেবে প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছিল।’
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, নতুন ভবনটি দ্রুত চালু করতে দফায় দফায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। হাসপাতাল ভবন ও কোয়ার্টার চালু হলে সেবার মান আরো বাড়বে। আর চলতি বছরের মধ্যে বাকি কাজ শুরু করার আশ্বাস স্বাস্থ্য ও প্রকৌশলী অধিদপ্তরের।
টাঙ্গাইল স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘অবশিষ্ট কাজের জন্য আমাদের একটা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।’
এ অবস্থায় শতভাগ চিকিৎসা সেবা পেতে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণাধীন হাসপাতাল ভবনগুলোর কাজ শেষ করার দাবি স্থানীয়দের।