বিশ্ব অর্থনীতি
অর্থনীতি
0

‘প্রবৃদ্ধির জন্য ২০২৫ সালে সক্রিয় সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বাস্তবায়ন করবে চীন’

চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করতে ২০২৫ সালে চীন আরো সক্রিয় সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। চীনা পিপলস পলিটিক্যাল কনসালটেটিভ কনফারেন্সের ন্যাশনাল কমিটির সঙ্গে নববর্ষের চা পার্টির এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ২০২৪ সালে দেশটি আবাসন খাতের সংকট, দুর্বল ভোগ এবং ক্রমবর্ধমান সরকারি ঋণসহ নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে।

চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করার জন্য বেইজিং ইতোমধ্যে সুদহার কমানো, বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধকে শিথিল করেছে। এরই সঙ্গে স্থানীয় সরকারকে ঋণ পরিচালনায় সহায়তা করার মতো পদক্ষেপও নিয়েছে। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অভ্যন্তরীণ ভোগ বাড়াতে এবং অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী করতে আরো আর্থিক প্রণোদনা প্রয়োজন রয়েছে।

প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০২৫ সালে চীনের জন্য ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। যদিও একাধিক অর্থনীতিবিদ পূর্বাভাস করেছেন প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কিছুটা কম হতে পারে। দেশটির সাম্প্রতিক প্রকাশিত শিল্পকারখানার তথ্য দেখিয়েছে, চীনের পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্স (পিএমআই) ডিসেম্বরে প্রবৃদ্ধির সংকেত দিয়েছে।

শি জিনপিং বলেন, আমাদের আরো সংস্কার করতে হবে, আরো উন্মুক্ত বাজার ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে, উন্নয়ন ও নিরাপত্তার মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করতে হবে। একই সঙ্গে শক্তিশালী ও আরো কার্যকর সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণ করতে হবে।

এদিকে ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের গ্যাব্রিয়েল এনজি জানিয়েছেন, চীনের অফিসিয়াল পিএমআই ইঙ্গিত দিচ্ছে ডিসেম্বরে অর্থনীতি গতি পেয়েছে। এছাড়া পরিষেবা ও নির্মাণ খাতও দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি আরো জানান, ২০২৪ সালের শেষের দিকে চীনের নীতি সহায়তা প্রবৃদ্ধিতে স্বল্প মেয়াদি উৎসাহ তৈরিতে সাহায্য করেছে। বিশেষ করে রপ্তানি আদেশ ২০২৪ সালে ডিসেম্বরে চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় উঠেছে। তার মতে, এর সম্ভাব্য কারণ মার্কিন আমদানিকারকরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আরোপিত সম্ভাব্য নতুন শুল্কের প্রস্তুতি হিসেবে আরো বেশি পণ্য অর্ডার করেছে।

প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং চীনের শিল্পোৎপাদন ও পরিষেবা খাতের ইতিবাচক সরকারি পরিসংখ্যান প্রকাশ করার পরই এ নীতি গ্রহণের কথা জানালেন।—ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।

এএম