মূলত ইন্দোনেশিয়া নিজেদের সংরক্ষণবাদী নীতি ব্যবহার করে বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে নিজেদের দেশে কারখানা স্থাপনের জন্য চাপ দিচ্ছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে এ কৌশল ইন্দোনেশিয়ার অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে, কারণ ভিয়েতনাম ও ভারতের মতো প্রতিবেশী দেশগুলো বিনিয়োগকারীদের জন্য আরো ভালো ও লাভবান চুক্তির প্রস্তাব করছে, বিশেষ করে যখন মার্কিন কোম্পানিগুলো সম্ভাব্য শুল্কের কারণে চীন থেকে নিজেদের ব্যবসা স্থানান্তর শুরু করেছে।
আইফোন বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে অ্যাপলকে তাদের বিনিয়োগ ১০ মিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ১০০ কোটি ডলার করতে হয়েছিল। এছাড়াও আংশিকভাবে সরবরাহকারীকে দিয়ে বাটামে একটি এয়ারট্যাগ কারখানা তৈরি করতে হয়েছিল।
সরকার যখন কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বিদেশি বিনিয়োগের সন্ধান করছে, তখন এই নীতিগুলো ব্যয় বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং বিদেশি সংস্থাগুলির জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইন্দোনেশিয়ায় অ্যাপলের নতুন বিনিয়োগের মধ্যে রয়েছে অ্যাপলের এয়ারট্যাগ তৈরির জন্য বাটামে একটি এক হাজার কর্মী সক্ষমতার কারখানা স্থাপন। কিন্তু ইন্দোনেশিয়ার বিধিনিষেধ অ্যাপলের উৎপাদন খরচ বাড়ানোর পাশাপাশি উৎপাদন প্রক্রিয়াকে আরো জটিল করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্লেষকরা। যার ফল সরূপ আগামীতে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা দেশটির জন্য কঠিন হয়ে যাবে।
আগামী পাঁচ বছরে উৎপাদন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার ৮ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। তবে দেশীয় শিল্প ইতোমধ্যে টানাপড়েনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। যে কারণে চলতি বছর বেশ কয়েকটি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে সঙ্গে প্রচুর কর্মী ছাঁটাইও হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বৈদেশিক বিনিয়োগকারীরা ভিয়েতনামের মতো সীমিত বিধিনিষেধযুক্ত দেশগুলোকে বিনিয়োগের জন্য পছন্দ করতে পারে, যা ট্যাক্স ছাড় ও দ্রুত পণ্য অনুমোদনের সুবিধা দিয়ে থাকে।