নাটোরের সিংড়ার চলনবিল। মাসখানেক পরেই এসব জমিতে শুরু হবে বোরো ধান রোপণের ধুম। তবে বিস্তীর্ণ মাঠ এখন কচুরিপানার দখলে। এতে ধান রোপনে বেগ পেতে হচ্ছে চাষিদের।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে চলনবিল অঞ্চলে বিলম্ব বন্যা হয়। তখন পানিতে স্রোত না থাকায় কৃষকের জমিতে এভাবে পড়ে রয়েছে কচুরিপানা। কৃষকরা বলছেন, কচুরিপানা সরাতে প্রতি বিঘায় খরচ হচ্ছে ৬ থেকে ৭হাজার টাকা।
প্রতিবছর চলনবিলে প্রায় ৩৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান এবং ৪ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ হয় সরিষার। তবে কচুরিপানার কারণে অন্তত ২ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করতে পারেনি কৃষকরা।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ বলছে, কচুরিপানা সংরক্ষণ করে জৈবসার তৈরির পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস দেন কৃষি কর্মকর্তা।
নাটোরের সিংড়ার উপজেলা কৃষি অফিসার খন্দকার ফরিদ বলেন, ‘কচুরিপানা তুলে একজায়গায় স্তূপ করে পোঁচানো যায় তাহলে এক প্রকারের সার তৈরি হবে। এটা ব্যবহারে জমির উর্বরতা বাড়বে। আগামী বছর যেন এ সমস্যা যেন না হয় সেজন্য আমরা উপজেলা প্রশাসনসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলছি।’
প্রতিবছর শুধু বোরো মৌসুমে চলনবিল অঞ্চলে অন্তত আড়াই লাখ টন ধান উৎপাদন হয়। তবে গেল কয়েক বছর ধরে বিলম্ব বন্যায় জলাবদ্ধতা আর কচুরিপানা ভোগান্তি বাড়িয়েছে কৃষকদের। তাই জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ী সমাধান চান কৃষকরা।