গেল শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) পার্লামেন্টে অভিশংসন প্রস্তাব পাশের পর সেটি পুনর্মূল্যায়নে আজ (সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর) শুরু হয় আদালতের বিচার প্রক্রিয়া। প্রথম বৈঠকে অংশ নেন ছয়জন বর্তমান বিচারপতির সবাই।
গণশুনানিতে লেগে যেতে পারে কয়েক মাস। সাংবিধানিক আদালতের প্রথম শুনানি হবে ২৭ ডিসেম্বর। ইওলকে স্থায়ীভাবে অপসারণ করা হবে, নাকি প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনঃনিয়োগ দেয়া হবে, সে সিদ্ধান্ত নিতে সর্বোচ্চ ছয় মাস পাবেন আদালত।
যদিও দেশের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় ইতি টানতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার চাপ রয়েছে আদালতের ওপর। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, নয় বিচারপতির মধ্যে তিনজন সম্প্রতি অবসর নেয়ায় ইওলের বিচার প্রক্রিয়া জটিল হবে। তার চূড়ান্ত অভিশংসনে নয় বিচারপতির মধ্যে কমপক্ষে ছয়জনের সমর্থন দরকার হবে।
দেশে সামরিক আইন জারির চেষ্টার অভিযোগে অভিশংসন প্রস্তাব পাশের পর বরখাস্ত করা হয় প্রেসিডেন্ট ইওলকে। ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী হ্যান ডাক-সুকে।
এদিকে চলমান রাজনৈতিক টানাপড়েনের মধ্যেই দলীয় চাপে পদত্যাগ করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দলের প্রধান ও ইওলের ঘনিষ্ঠ ক্যান ডং-হুন।