ক্রিকেট
এখন মাঠে
0

কক্সবাজারে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি দেখতে ভিড় দর্শনার্থীর

পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজারে প্রদর্শিত হলো আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। আজ (বুধবার, ১১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় সৈকতের লাবনী পয়েন্টে বিজিবির সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্র ঊর্মির সামনে ট্রফিটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এর আগে সকাল ১০টায় ট্রফিটি কিছুক্ষণের জন্য উন্মুক্ত করা হয় সাম্পানের উপর। এসময় দর্শনার্থীরা ট্রফিটি দেখতে ভিড় করেন।

আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বিশ্বভ্রমণ পর্ব শুরু হয়েছিল আয়োজক দেশ পাকিস্তান থেকে। সেই ট্রফি এবার এলো সমুদ্রশহর কক্সবাজারে। তিন কেজি একশ' গ্রামের এ ট্রফি প্রথমবারের মতো উন্মুক্ত করা হয় সাম্পানের উপর। এরপর সৈকতের লাবনী পয়েন্টে বিজিবির সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্র ঊর্মির সামনে ট্রফিটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।

আরাধ্য এ ট্রফিটি চোখের সামনে দেখে অনেকে সেলফি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। প্রিয় মুহূর্তটিকে বন্দী করে রাখেন মুঠোফোনে বা ক্যামেরায়। কক্সবাজারে বালুকাবেলায় বিরল এ সুযোগ করে দেয়ার জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান দর্শনার্থীরা।

একজন দর্শক বলেন, 'আন্তর্জাতিক কোনো ট্রফি প্রথমবার আসলো হয়তো। অনেক দারুণ একটা অনুভূতি, কাছ থেকে দেখছি। ভালো লাগছে। অসাধারণ একটা অনুভূতি বলে প্রকাশ করা যাবে না।'

অন্য একজন দর্শক বলেন, 'যদি বাংলঅদেশ চ্যাম্পিয়ন হয় তখন আরও ভালো লাগবে।'

কক্সবাজারের এই প্রদর্শনী ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয় পুলিশ ও র‍্যাব।

কক্সবাজারের ট্যুরিস্ট পুলিশ সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম বলেন, 'আমরা ট্যুরিস্ট পুলিশসহ, র‌্যাব, জেলা পুলিশ সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা করছি। স্থানীয় লোকদের পাশাপাশি ট্যুরিস্টরা ভিড় করছে।'

দুবাইভিত্তিক বহুজাতিক লজিস্টিক কোম্পানি 'ডিপি ওয়ার্ল্ড'–এর তত্ত্বাবধানে ট্রফির বিশ্বভ্রমণ পর্বে ১৬ থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত ট্রফিটি ছিল পাকিস্তানে। আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ট্রফিটি বাংলাদেশেই থাকবে। রাজধানী পান্থপথের বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে ১২ ডিসেম্বর রাখা হবে ট্রফিটি।

বাংলাদেশ ছাড়ার পর ট্রফিটি ১৫ থেকে ২২ ডিসেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকার কথা রয়েছে। এরপর অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড ঘুরে আগামী ১৫ জানুয়ারি ট্রফি যাবে ভারতে।

এর আগে গতকাল (মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছে ট্রফি বহনকারী বিমান।

এসএস