সমুদ্র থেকে যেন উঠে এসেছে আকাশছোঁয়া এক দানব। ৬২ ফুট উচ্চতার ভয়ানক ওই দানবের সাথে এসেছে ছোট আরো দুই দানবকে। প্রতীকী হলেও এমন প্লাস্টিক দানবের হিংস্র থাবায় প্রতিনিয়ত ক্ষত-বিক্ষত মানবজীবন ও প্রাণ প্রকৃতি।
গেল এক মাসে কক্সবাজার, ইনানী ও টেকনাফ সৈকতে কুড়িয়ে পাওয়া প্রায় ১০ টন প্লাস্টিক দিয়ে এই দানবগুলো তৈরি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিল্পীরা।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা ও সীগাল পয়েন্টের মাঝামাঝি স্থানে বালিয়াড়িতে তৈরি করা এই অবয়ব দেখতে ভিড় করছেন পর্যটক ও স্থানীয়রা।
আয়োজকরা বলছেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ও সেন্টমার্টিনে যাওয়া পর্যটকদের ফেলে যাওয়া প্লাস্টিক বর্জ্যের কারণে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে দূষণ। এতে সামুদ্রিক জীবসহ হুমকিতে পড়ছে প্রাণ-প্রকৃতি। এমন প্রেক্ষাপটে দূষণ রোধ ও সচেতনতা সৃষ্টিতে এমন আয়োজন। যা পুরো পর্যটন মৌসুমজুড়ে উন্মুক্ত থাকবে।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের সেচ্চাসেবক মুহাম্মদ মুবারক বলেন, ‘ প্লাস্টিক আমাদের পরিবেশকে দানব আকারে ক্ষতি করছে, যা আমরা চোখে দেখছি না বা অনুভব করছি না।’
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, ‘এটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা। ব্যক্তি পর্যায়ে সচেনতা তৈরি হলেও আমরা প্লাস্টিকের সমস্যা নিরসন করতে পারব।’
৬২ ফুট উচ্চতার দানবটি ‘ওসান প্লাস্টিক’ দিয়ে তৈরি বিশ্বের সর্ববৃহৎ রোবট দানব বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা।