কৃষি , গ্রামীণ কৃষি
দেশে এখন
0

পঞ্চগড়ে আলু রোপণে সার সংকটে কৃষক

পঞ্চগড়ে আমন ধান কাটা-মাড়াই শেষে এখন চলছে আলু রোপণের কাজ। তবে এরই মধ্যে চরম সার সংকটে ভুগছেন স্থানীয় কৃষকরা। ডিলারদের কাছে মিলছে না চাহিদা অনুযায়ী সার। প্রতি বস্তা সার কিনতে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। চলতি মৌসুমে আলুর উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা।

আমনের ধান কাটা মাড়াইয়ের শেষে নতুন করে জমি তৈরিতে ব্যস্ত পঞ্চগড়ের কৃষকরা। তবে আলু উৎপাদনে মৌসুমের শুরুতেই দেখা দিয়েছে সারের সংকট।

ডিলারদের কাছে চাহিদা অনুযায়ী মিলছে না সার। খোলা বাজারে প্রতি বস্তা টিএসপি ও এমওপি সার কিনতে সরকার নির্ধারিত দামের বাইরে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। কৃষকরা জানান, সার কিনতে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা। সার কিনতে বাড়তি খরচ হওয়ায় বেড়ে যাচ্ছে উৎপাদন খরচও। বিঘাপ্রতি এবার আলু খরচ দাঁড়াচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।

এদিকে, আলু চাষের পরিধি তিনগুণ বাড়ায় সারের চাহিদাও বেড়েছে বলে জানান ডিলাররা। বলছেন, কিছু ব্যবসায়ী বাইরে থেকে সার এনে বেশি দরে বিক্রি করছে।

জেলায় গেল নভেম্বরে ৫ হাজার ৭৬৪ টন ইউরিয়া সারের চাহিদার বিপরীতে বরাদ্দ এসেছে ৩ হাজার ৯৯ টন। এমওপি ৫ হাজার ৮৩২ টনের বিপরীতে ৩ হাজার ৬৯৯ টন, টিএসপি ৪ হাজার ৬৫১ টনের বিপরীতে ২ হাজার ৫০০ টন ও ডিএপি ৩ হাজার ৭৩২ টনের বিপরীতে বরাদ্দ মিলেছে ২ হাজার ৪৩৫ টন। দিনাজপুর থেকে সার উত্তোলন করতেও সময়ক্ষেপণ হচ্ছে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা। তবে কোনো ডিলার অনিয়মে জড়িত থাকলে ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি জেলা প্রশাসনের।

পঞ্চগড়ের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অতিরিক্ত উপপরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ আগে ডিলার ঠাকুরগাঁ গোডাউন থেকে বরাদ্দ পেত এখন বিরামপুর থেকে সরবরাহ দেয়া হচ্ছে। যার কারণে একটু সময় লাগছে। বাকি ৩০ শতাংশ সার দ্রুত চলে আসবে এবং আগামী মাসের বরাদ্দ আমরা দ্রুত দিয়ে দেব।আশা করছি আর কোনো সমস্যা হবে না।’

পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক সাবেত আলী বলেন, ‘যদি কোনো ডিলার টাকা দিতে দেরি করেন বা ব্যক্তিগত অবহেলার কারণে সার আসতে দেরি হয় বা কৃত্রিম সার সংকট তৈরি হয়। তাহলে আমরা সেসব ডিলারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

এদিকে, সার নিয়ে অনিয়মের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন স্থানে চলছে অভিযান। অনিয়মের প্রমাণ মিললে করা হচ্ছে জেল-জরিমানা।

এএম