আমদানি-রপ্তানি
অর্থনীতি
0

আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার অপেক্ষায় পায়রা বন্দর

শেষ হয়েছে পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনালের নির্মাণকাজ। এছাড়া ৩ লাখ ২৫ হাজার বর্গমিটার ব্যাক-আপ ইয়ার্ডসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণের কাজও চলছে পুরোদমে। পণ্য খালাস, পরিবহনে খরচ ও সময় কমানোর জন্য আলাদাভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে বন্দরটি। আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে এবং বাণিজ্য সম্প্রসারণে এই বন্দর বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দরের প্রথম জেটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে আনলোডার এবং ক্রেনসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ স্থাপনের কাজ। ব্যাক-আপ ইয়ার্ডসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণের কাজও এগোচ্ছে দ্রুতগতিতে। শিগগিরই এই জেটিতেই সরাসরি ভিড়তে পারবে মাদার ভ্যাসেল।

গত ২৭ নভেম্বর শেষ হয় জেটির নির্মাণ কাজ। ১শ’ ১৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৯ হাজার বর্গ মিটারের জেটি নির্মাণ করে সিসিইসিসি নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

সিসিইসিসি কোম্পানির প্রজেক্টের কো অর্ডিনেটর মো. সোহেল রানা বলেন, 'বাংলাদেশি ও চীনাদের সহযোগিতায় এখানে রাতদিন কাজ করেছি যেন কাজটা সময়মতো শেষ করতে পারি। এখন থেকে মাদার ভ্যাসেল সরাসরি আনলোড করতে পারবে।’

দেশের বাণিজ্যিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বৈশ্বিক বাজারের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে পায়রা বন্দর। নতুন নির্মিত জেটিতে একই সঙ্গে ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৩ টি জাহাজ নোঙর করতে পারবে। পণ্য খালাস করে সড়ক পথে ও নৌপথে কম সময়ে অল্প খরচে পণ্য পরিবহণ করা যাবে।

পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের মধ্যবর্তী স্থানের এর পায়রা বন্দর থেকে পণ্যের পরিমাণ যদি বাড়াতে পারি তাহলে এই বন্দরের ভূমিকা অনেকাংশে বেড়ে যাবে বলে মনে করি।’

২০১৩ সালে বন্দরটির নির্মাণ শুরু হয় এবং অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৬ সালে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১০১ টি মাদার ভেসেল এবং ৮৮২ টি লাইটার ভেসেলের মাধ্যমে পণ্য খালাস করে বাণিজ্যিক কার্যক্রম গতিশীল রেখেছে সম্ভাবনাময় বন্দরটি।

জেটিটি পুরোপুরি চালু হলে এই বন্দরের মাধ্যমে দেশ আরো সমৃদ্ধ হবে বলে মত অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের।

ইএ