গ্রাউন্ড হ্যাংন্ডলিং ইস্যুতে ফের আলোচনায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল। এর আগে অত্যাধুনিক এই টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যাংন্ডলিং জাপানকে দেবার কথা থাকলেও অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তে সেটা পেয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
এমন পরিস্থিতিতে আজ (সোমবার, ২ ডিসেম্বর) দেশের বিমান ও পর্যটন বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন এটিজেএফবি আয়োজন করেছে 'থার্ড টার্মিনাল; সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ' গোল টেবিল বৈঠকের। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক অ্যাভিয়েশন অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সেক্রেটারি মফিজুর রহমান প্রশ্ন তোলেন তৃতীয় টার্মিনালের ব্যয় নিয়ে। তুলে আনেন নকশায় ত্রুটির বিষয়টিও।
মফিজুর রহমানের প্রবন্ধে উঠে আসে শুধু রাজনৈতিক স্ট্যান্ডবাজির জন্য শেখ হাসিনা সরকারের তাড়াহুড়া করে তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধনের বিষয়টি। জানান, স্বাধীন আরেকটি রানওয়ে ছাড়া আশানুরূপ সুফল মিলবে না থার্ড টার্মিনালের।
এসময় গ্রাউন্ড হ্যাংন্ডলিংয়ের দায়িত্ব এককভাবে বিমানকে দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন অন্য বক্তারাও। বিমানের মনোপলি ভেঙ্গে উন্মুক্ত টেন্ডারের মাধ্যমে গ্রাউন্ড হ্যাংন্ডলিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান নেওয়ার আহ্বান তাদের।
বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোও বিমানবন্দরের সার্ভিস চার্জ, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং চার্জ ও বিমানের সেবা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
যদিও তৃতীয় টার্মিনালে আন্তর্জাতিক সেবা দিতে কোনো ছাড় দিতে রাজি নয় বেবিচক। চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভুঁইয়া বলছেন, আগামী ১৫ বছরের জন্য এই টার্মিনাল জাপানের অধীনে পরিচালিত হবে। বিমান গ্রাউন্ড হ্যাংন্ডলিং করতে না পারলে ব্যবস্থাও নেয়া হবে।
তৃতীয় টার্মিনাল চালু করতে আরও এক বছর সময় লাগবে উল্লেখ করে বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ জানান, এই টার্মিনাল নির্মাণে কোন দুর্নীতি হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।
এসময় অংশীজনরা দ্রুত তৃতীয় টার্মিনাল চালুর বিষয়েও জোর দেন।