৯০ দশকের শুরুতে বাংলাদেশে রাজনীতি যখন উত্তাল। স্বৈরশাসক এরশাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহানের হাত ধরে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) যাত্রা। সকল মতের মানুষ মুক্ত আলোচনার জন্য এ প্লাটফর্ম ব্যবহার শুরু করে। দেশের অন্যতম সব থিংকট্যাংকরা একে একে যুক্ত হতে থাকেন সিপিডিতে। সেই ৯৩ সাল থেকে শুরু হয়ে সিপিডি এখনো কাজ করছে। আর এই ৩০ বছরের পথচলার গল্পই তুলে ধরেন ড. রেহমান সোবহান।
সিপিডির এই মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন রাজনীতিবিদ, সাবেক আমলা, শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদ, উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা। এ সময় বক্তারা বলেন, সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে সিপিডির ভূমিকা ছিল অন্য সবার থেকে আলাদা।
স্থায়ী কমিটির সদস্য বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে কথা বলার জায়গা ছিল না, সেই সময়ে সিপিডি সকল মতের মানুষের কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছিল।’
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরো বলেন,‘রাজনীতির বাহিরে নতুন একটা চিন্তা ও ভাবনা এবং যেখানে নানা ধরনের মতের প্রতিফলন ঘটে এমন একটি জায়গা তৈরিতে সিপিডি সফল হয়েছে।’
ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও সেই পরিস্থিতি থেকে এখনো দায়িত্বশীলরা বের হতে পারেননি।’
তিনি আরো বলেন,‘আমরা এক ধরনের ফ্যাসিস্ট ধারনাকে ভেঙ্গে নতুন এক ধারণায় এসেছি। আমরা ক্ষমতা বদলিয়েছি, আমরা প্রাতিষ্ঠানিক পরিস্থিতি বদলিয়েছি। যেসব প্রতিষ্ঠানগুলো দিয়ে আমাদের শোষণ করা হয়েছে তার ক্ষমতা এখন আমাদের কাছে, কিন্তু আমরা কী বদলিয়েছি।’
সিপিডির বোর্ড অব ট্রাস্টিতে আছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস। একভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে প্রতিকূল পরিবেশে কাজ করেছে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ সিপিডি।’
আর বর্তমান পরিস্থিতিতে সিপিডিকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করারও আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা। এছাড়া আলোচনায় ৩০ বছরের পথচলার নানা চ্যালেঞ্জের কথাও তুলে ধরেন বক্তারা।