বিদেশে এখন
0

থ্যাঙ্কসগিভিং ডে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েছে ভ্রমণপিপাসুদের আনাগোনা

খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিনের বাকি ঠিক এক মাস। কিন্তু এর মধ্যেই দেশে দেশে ধরা দিতে শুরু করেছে বড়দিনের আনন্দ। বর্নিল সাজে সাজতে শুরু করেছে ইউরোপের বিভিন্ন শহর। ক্রিসমাসের প্রস্তুতির মধ্যেই আসন্ন থ্যাঙ্কসগিভিং ডে ঘিরে মার্কিন মুলুকে বেড়েছে ভ্রমণপিপাসুদের আনাগোনা। যুক্তরাষ্ট্রে জমজমাট আকাশ পথের বাণিজ্য। চাপ বেড়েছে রেলপথেও।

আলোর ঝলকানিতে উজ্জ্বল প্রেম ভালোবাসার দেশ ফ্রান্স। রাজধানী প্যারিসের আইকনিক চ্যাম্পস এলিসিস অ্যাভিনিউয়ে রাতের আধারে বর্ণিল আলোকছটা।

বড়দিন উপলক্ষ্যে চলছে সাজ সাজ রব। ক্রিসমাস লাইট দিয়ে সাজানো হয়েছে শহর ও বিভিন্ন স্থাপনা। শহরের আশেপাশের ৪০০টি গাছে লাগানো হয়েছে রঙবেরঙের বাতি।

জমকালো লাইটিংসহ দেখতে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর ফ্রান্স। পরিবার-পরিজন ও প্রিয় মানুষকে নিয়ে ছুটে এসেছেন তারা। বিশেষ এই মুর্হুত মুঠোফোনে বন্দি করে রাখছেন অনেকে। আগামী বছরের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আলোর খেলা দেখার সুযোগ পাবেন দর্শনার্থীরা।

একজন দর্শক বলেন, 'সত্যি আনন্দদায়ক মুহূর্ত। এটি আমাদের দ্বিতীয় বছর, আমরা প্রতি বছর ক্রিসমাস পালনের জন্য এখানে আসি, এটি আসলেই সুন্দর। প্যারিস নান্দনিক শহর, এখানে অনেক কিছু দেখার রয়েছে, জাঁকজমকের ধারাবাহিকতা অনেক।'

ফ্রান্সের পাশাপাশি বড়দিন উপলক্ষ্যে রঙিন সাজে সেজেছে ইউরোপের আরেক শহর জার্মানি। পথে পথে আলোকসজ্জা। সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি, শপিংমল, পার্ক ও রেস্তোরাঁ।

এরইমধ্যে স্থানীয় বাসিন্দা ও দর্শনার্থীরা ভিড় জমাচ্ছেন বার্লিনের সিটি হলে। খেলাধুলায় মেতেছে শিশুরা। চলছে গানের আয়োজন।

শুধু আনন্দ আয়োজনই নয় বড়দিন ঘিরে চাঙা ব্যবসা-বাণিজ্য। শীতের আমেজে ফুডকার্ট ও রেস্তোরাঁগুলোতে ভিড় করছেন ভোজনরসিকরা। আগামী মাসের পুরো মাসজুড়েই চলবে জমকালো এই আয়োজন।

স্থানীয় একজন বলেন, 'আমরা সবাই বড়দিনের জন্য অপেক্ষা করছি। বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ, সংকট, বিভাজন কেটে যাক। ক্রিসমাসে আশা, বিশ্বাস , ভালবাসা এবং একতা ফিরে আসুক। উষ্ণ পোশাকের পাশাপাশি আনন্দ উদযাপনে বাড়তি অর্থ খরচ হচ্ছে। তারপরও আমরা উপভোগ করছি।'

এদিকে বড়দিনের পাশাপাশি থ্যাঙ্কসগিভিং ডে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রে জমজমাট আকাশ পথের বাণিজ্য। এরইমধ্যেই বুকিং হয়ে গেছে বেশিরভাগ ফ্লাইট। পাওয়া যাচ্ছেনা টিকিট। লম্বা ছুটি পেয়ে এক শহর থেকে আরেক শহরে ভ্রমণে মেতেছেন অনেকেই।

একজন বিমান যাত্রী বলেন 'এটি প্রত্যাশিত। বিমানবন্দরে কিছুটা চাপ বেড়েছে, সবকিছু ভালোই চলছে। আমাদের যাত্রা বেশ মসৃণ ছিল। ফ্লাইটে অনেক যাত্রী ছিল, সামগ্রিকভাবে একটি ভাল ফ্লাইট হয়েছে। অনেক ভিড় সত্ত্বেও আমাদের ফ্লাইট সময়মতো টেক অফ করেছে, আমরা আমাদের লাগেজ সময়মতো পেয়েছি। এখন পর্যন্ত সবকিছুটা বেশ ভালো।'

শুধু আকাশপথেই নয়, চাপ বেড়েছে সড়ক ও রেলপথেও। ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি যারা বিমানের টিকিট পাননি তারা বেড়ে নিয়েছেন রেলপথকে। বৃহস্পতিবারের আগে যাত্রীচাপ দ্বিগুণ হওয়ার শঙ্কা অনেকের।

থ্যাঙ্কসগিভিং ডে ঘিরে হোয়াইট হাউজেও চলছে নানা আয়োজন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শেষবারের মতো হোয়াইট হাউজে বড়দিন উদযাপন করবেন জো বাইডেন।

হোয়াইট হাউসে শেষবার প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে বিদায় জানবে দুই টার্কি পিচ এবং ব্লসম। দেশটির ন্যাশনাল টার্কি ফেডারেশনের চেয়ারম্যান জানান আনুষ্ঠানিকতা শেষে এই টার্কিগুলোকে রাখা হবে একটি ফার্মে। আগামীদিনগুলোতে কৃষি দূত হিসেবে কাজ করবে এই দুই টার্কি।

এসএস