সকাল ১০টার পর রাজধানীর সদরঘাট এলাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরা বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে জড়ো হতে থাকেন। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রায়সাহেব বাজারের দিকে অগ্রসর হয়। তাদের সঙ্গে আশপাশের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা যোগ দেন।
এরপর তারা যাত্রাবাড়ীর মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের দিকে যাত্রা করে এবং বেলা ১২টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরা হামলা চালায়। তিনপক্ষের এ সংঘর্ষে কিছুক্ষণের মধ্যে পুরো এলাকায় রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। লাঠিসোঁটা হাতে রাস্তায় নেমে পড়ে শিক্ষার্থীরা।
ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা ও ভাঙচুরের পর দুই পক্ষের সংঘর্ষ। ছবি: এখন টিভি
যাত্রাবাড়ী ও আশপাশের এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা। সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরা কলেজে হামলা চালিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে এবং চেয়ার, কম্পিউটারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে বের হয়ে আসে।
পরে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। দ্রুত কলেজটির মূল গেট বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে করে আক্রমণকারী দুই কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ভেতরে আটকা পড়েন। ঘণ্টাদুয়েক ধরে চলা এ সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত অনেকে আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এসময় এলাকাবাসীও তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এদিকে দুপুর দেড়টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা মাইকিং করে শিক্ষার্থীদের থামানোর চেষ্টা করছে।
ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা ও ভাঙচুরের পর দুই পক্ষের সংঘর্ষ। ছবি: এখন টিভি
ভুল চিকিৎসায় অভিজিৎ হাওলাদার নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগে এর আগে গতকাল (রোববার) পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগের দিনের হামলার জের ধরে আজকে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা চালানো হয়।