অপরাধ ও আদালত
0

জুলাই গণহত্যা: এক মাসের মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের

শাহনুর শাকিব

এক মাসের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সাবেক ১৩ মন্ত্রী, এমপিসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানান, জুলাই আগস্টের গণহত্যার সঙ্গে হাজির হওয়া আসামিদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

আজ (সোমবার, ১৮ নভেম্বর) ভোর থেকেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। ভেতরে প্রবেশ করার ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়।

সকাল সাড়ে নয়টায় ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় সাবেক পাটমন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীরকে। এরপরই কাশিমপুর কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে আসেন সাবেক মন্ত্রী দীপু মনি। পরে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে একটি প্রিজন ভ্যানে হাজির করা হয় সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, ফারুক খান, তৌফিক এলাহি, জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ ১৩ জনকে। টাঙ্গাইলের একটি মামলায় রিমান্ডে থাকায় সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাককে হাজির করা হয়নি।

সকাল পৌনে এগারোটায় শুরু হয় ট্রাইব্যুনালের বিচার কাজ। তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে শুরুতেই আসামিপক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজীর বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হয়। পরে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালের কাছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের দুঃশাসন ও নির্যাতনের একটি সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন।

বিডিআর বিদ্রোহে সেনা কর্মকর্তা হত্যা, শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড, আর্থিক কেলেঙ্কারির এবং সবশেষ জুলাই আগস্টের গণহত্যার সকল দায় শেখ হাসিনার ওপরে বর্তায় বলে দাবি করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জানতে চায় ট্রাইব্যুনাল। এসময় রাষ্ট্রপক্ষ জানান, শেখ হাসিনা ভারতে আছেন, তাকে দেশে আনার কাজ চলছে। একইসঙ্গে এক মাসের মধ্যে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত শেষ করতে বলা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালে জাহির করা ১৩ আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আসামিপক্ষের আইনজীবীদের নিজ নিজ আসামিদের পক্ষে আইনি সহায়তা দেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে।

শেখ হাসিনার পলাতক থাকায় তার পক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৭ ডিসেম্বর।

এসএস