উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্প প্রশাসনে নাম আসছে কট্টর রাজনীতিবিদদের

দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের তোড়জোড়ে ব্যস্ত নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিরাপত্তা-পররাষ্ট্র-অভিবাসন-জলবায়ুসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্বে উঠে আসছে কট্টর রাজনীতিবিদদের নাম। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন প্রশাসনে নিয়োগ পাবেন কেবল ট্রাম্পের একান্ত অনুগতরাই।

বিশ্ব রাজনীতি-অর্থনীতিতে সবচেয়ে প্রতাপশালী দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার বাকি এক মাসের বেশি সময়। এর মধ্যেই নিজের নতুন প্রশাসনে কাদের নেবেন, সে যাচাই-বাছাই শুরু করেছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। উপদেষ্টা থেকে মন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ সব পদে প্রার্থীদের একটি বৈশিষ্ট্য বাধ্যতামূলক এবং অপরিবর্তনীয়- আর তা হলো প্রশ্নাতীত আনুগত্য।

২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বিগত মেয়াদে নিজ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে বিরোধে জড়িয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে নিজের সবচেয়ে বিতর্কিত পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নে গোয়েন্দা, জাতীয় নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলাসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু পদে বারবার করেছেন রদবদল, যা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে নজিরবিহীনই বটে! ৪৭তম প্রেসিডেন্টের প্রশাসনে তাই শুরু থেকে ঠাঁই দিতে চান তাদেরকেই, যাদের আনুগত্য ও বিশ্বস্ততা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ দেখছেন না ট্রাম্প। নিজের ‘মেইক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে ট্রাম্পের প্রতি সত্যিকারের বিশ্বস্তরাই শুধু মন্ত্রীসভায় জায়গা পাবেন বলে নিশ্চিত করেছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট।

ট্রাম্পের আচরণ আর নীতির সমালোচনা করে চক্ষুশূল জাতিসংঘে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি আর সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও সম্প্রতি বোঝাপড়ায় আসতে চাইলেও নতুন প্রশাসনে ঠাঁই পাচ্ছেন না বলে নিশ্চিত করেছেন ট্রাম্প। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে তাই নিয়োগ পরিকল্পনা চলছে নতুন প্রশাসনে। হোয়াইট হাউজের নতুন চিফ অব স্টাফ সুচি ওয়াইলস এবং জাতিসংঘে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত এলিস স্টিফানিকের নাম ঘোষণা হয়েছে আগেই। বছরব্যাপী নির্বাচনী প্রচারণাজুড়ে ট্রাম্পের নানা বিতর্কিত মন্তব্যে যুক্তির মোড়ক দিয়ে বিশ্বস্ততা প্রমাণ করেছেন তিনি। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে কট্টর চীনবিরোধী মাইক ওয়াল্টজ আর সীমান্ত সুরক্ষায় ‘বর্ডার জার’ খ্যাত টম হুম্যানের নাম শোনা যাচ্ছে।

ট্রাম্পের মন্ত্রণালয়ের সম্ভাব্য সংক্ষিপ্ত তালিকার সবচেয়ে বিতর্কিত নামটি মার্কো রুবিওর, যার হাতে যেতে পারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। চীন-ইরান-কিউবাসহ যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু দেশগুলোর প্রতি এককালে কঠোর পররাষ্ট্র নীতির পক্ষে কথা বলেছেন তিনি। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যয়বহুল ও অর্থহীন যুদ্ধের জন্য সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টদের দায়ী করা ট্রাম্পের সঙ্গে সুর মিলিয়ে কয়েক বছর ধরে সহাবস্থানমূলক পররাষ্ট্রনীতির জন্য চাপ দিচ্ছেন এ নেতা। সমর্থক ও বিরোধী- দুই দলেরই মত, চারপাশে বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর মতো কাউকে না রাখলে নিজের রক্ষণশীল লক্ষ্য অর্জন সহজ হবে বলে মনে করছেন ট্রাম্প।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আসন্ন ট্রাম্প সরকারে মতবিরোধিতা ঠেকাতে মন্ত্রী থেকে শুরু করে উপমন্ত্রী, সহযোগী পদেও প্রত্যেক সম্ভাব্য প্রার্থীর ইতিহাস চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে রিপাবলিকান শিবির।

এএম