আগামী বছর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অভিবাসন নীতি কঠোর করেছে কানাডা। এই অবস্থায় প্রতিবেশী দেশ যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন সংকট শুরু হলে, দুই জায়গাতেই বেসামাল হবে পরিস্থিতি।
ইতোমধ্যে কানাডার পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বহু বাসিন্দা কানাডায় আসার চিন্তা করছেন। সীমান্তে তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। জাস্টিন ট্রুডো প্রশাসন গুরুত্ব দিয়ে মার্কিন সরকারের সঙ্গে কাজ করার ঘোষণাও দিয়েছে।
কানাডার চিকিৎসক ডা. অরণী সালাস ইসলাম, ‘ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য যেসব নীতিগুলো রয়েছে তা কখনই অভিবাসন বান্ধব নয়। যার নেতিবাচক প্রভাব আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর পড়বে।
যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক আসিফ বিন আলী বলেন, ‘ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর পুলিশের ওপর বিনিয়োগ আরো বাড়াবে, যাতে এটি তার অভিবাসন বিরোধী পলিসিতে ব্যবহার করা যায় তার সর্বোচ্চ চেষ্টা তিনি করবেন।’
মনে করা হচ্ছে জানুয়ারিতে দায়িত্ব নিয়ে বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশ জারি করতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে যারা অবৈধ অভিবাসী তাদের সন্তান স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিকত্ব লাভের সুযোগ হারাবে না। পাশাপাশি, যারা নাগরিক হওয়ার প্রাথমিক ধাপ ‘গ্রিন কার্ড’ পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন তারাও বিপাকে পড়বেন। মেক্সিকোসহ দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ অবৈধ অভিবাসী থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে। আছেন ভারত, চীন, ফিলিপিন্সসহ এশিয়ানরাও।
অভিবাসন সংকট শুধু মানব সংকটই নয়, এর প্রধান ক্ষতি অর্থনীতিতে। চাকরির বাজার, আবাসন থেকে শুরু করে দেশে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহে বাধা আসতে পারে এর কারণে।
জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক আসিফ বিন আলী আরও বলেন, ‘যারা বৈধ অভিবাসন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আসেনি, তারা তাৎক্ষণিকভাবে হুমকির মুখে পড়বে। তারা ইতোপূর্বে যে রেমিট্যান্স বাংলাদেশে পাঠাতেন, তারা আগামীতে তা কতটুকু পাঠাতে পারবেন সেটাই এখন দেখার বিষয়। তাই আমার মনে হয় এটা আমাদের রেমিট্যান্সের ওপরে একটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
মার্কিন জনগণও যেমন জন রায়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তিগুলো সমর্থন করেছেন, তেমনি কানাডাতেও বাসিন্দারা চান অভিবাসীদের লাগাম টানতে। সে লক্ষ্যেই এখন কাজ করছেন উদারপন্থি বলে বিবেচিত লিবারেল পার্টিও।