বাংলার ক্রিকেটে কালো মেঘের ঘনঘটা, হারের বৃত্তে আটকে আছে দেশের ক্রিকেটটা। ফরম্যাট বদলায়, বদলায় খেলার মাঠ, তবে বদলায় না মাঠের ক্রিকেটে টাইগারদের ছন্নছাড়া পারফরমেন্স।
দল যখন পথ হারানো পথিক, তখন সে দলের সদস্য হয়েও একজন ঠিকই নিজের কাজটা করে চলেছেন নীরবে। তাসকিন আহমেদ, টাইগারদের পেস আক্রমণের নেতা। বার বার ইনজুরিতে পড়েছেন, কিন্তু ঠিকই বল হাতে ফিরেছেন ২২ গজে গতির ঝড় তুলে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের বধ করতে।
গেল দুই বছরের ওয়ানডে পরিসংখ্যানে চোখ বুলালে স্পষ্ট হয়, বল হাতে কতটা অপ্রতিরোধ্য ছিলেন ঢাকা এক্সপ্রেস। ২০২৩ সালে ১৮ ম্যাচে প্রায় একশ আটত্রিশ ওভার বল করে তাসকিন নিয়েছেন ২৬ উইকেট, ৪ দশমিক সাত নয় ইকোনমিতে এভারেজটা ছিল ২৫ দশমিক তিন চার। যেখানে ১৯ ম্যাচে সাড়ে পাঁচ ইকোনমিতে শরিফুলের উইকেট ৩২টি, আর ২১ ম্যাচে প্রায় ৪৩ এভারেজে ফিজের উইকেট ২১টি।
চলতি বছরে বল হাতে আরো ভয়ংকর এই গতিদানব। ৪ ওয়ানডেতে ইতিমধ্যেই ঝুলিতে তুলেছেন ১২ উইকেট, ১৭ এভারেজে ইকোনমি ৫ দশমিক দুই তিন। যেখানে দলের বাকি দুই পেসার মুস্তাফিজ আর শরিফুল আছেন কিছুটা পিছিয়ে। ২ ম্যাচে ৬ উইকেট নেয়া কাটার মাস্টারের এভারেজ ১৬, ইকোনমি ৫ দশমিক এক শূন্য। আর ৪ ম্যাচে ৩১ এভারেজে শরিফুলের শিকার মোটে ৬ উইকেট।
ব্যাটিং দুর্দশায় নাজেহাল টাইগারদের বোলিং ইউনিটটা যেন দাঁড়িয়ে আছে ঠিক বিপরীত অবস্থানে। উইলো হাতে লিটন শান্তদের ব্যর্থতার কালো মেঘে বারবার ঢাকা পড়ছে, তাসকিন-শরিফুলদের পারফরমেন্স।