ইউরোপ
বিদেশে এখন
0

ইউক্রেনকে পশ্চিমাদের হাতের পুতুল হিসেবে ব্যবহার হতে দিবে না রাশিয়া

সোচিতে ভ্লাদিমির পুতিন

ইউক্রেনকে পশ্চিমাদের হাতের পুতুল হিসেবে ব্যবহার হতে দিবে না রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানান, নিরপেক্ষতার নীতি গ্রহণ না করলে ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সুসম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব নয়। অন্যদিকে জেলেনস্কির দাবি, যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার অর্থ হতাহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া। তাই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের প্রস্তাবে কিয়েভ সাড়া নাও দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট।

বিশ্বের সবচেয়ে ধূর্ত বিক্রেতা ভলোদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট যতবারই যুক্তরাষ্ট্রে পা দিয়েছে, ততবারই বাগিয়ে নিয়েছেন ৬০ কোটি ডলার। দেড় মাসে আগের ট্রাম্পের এই বক্তব্যই আভাস দেয়, ক্ষমতা গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রের আর্শিবাদপুষ্ট হাত উঠে যাবে ইউক্রেনের ওপর থেকে।

কিয়েভের বেকায়দার সুযোগ নিতে কার্পণ্য করছে না মস্কো। সোচি শহরের এক অনুষ্ঠানে ইউক্রেনকে পশ্চিমাদের প্রভাবমুক্ত করার ওপর জোর দিয়ে পুতিন জানান, নিরপেক্ষতার নীতি গ্রহণ না করলে ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সুসম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব নয়। তৃতীয় কোনো দেশের পুতুল হিসেবে কিয়েভকে ব্যবহার করা যাবে না বলেও সতর্ক করেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘তাদের মধ্যে যদি নিরপেক্ষতাই না থাকে, তাহলে কীভাবে দুই দেশের মধ্যে প্রতিবেশী সুলভ আচরণ আশা করবেন? সব সময় ইউক্রেনকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে পশ্চিমারা। যা রাশিয়ান ফেডারেশনের বিপক্ষে কাজে লাগানো হয়েছে। এবার আর সেটি হতে দেয়া যাবে না।’

যুদ্ধ শুরুর আগের নীতিতে ফেরত যাবে না রাশিয়া। ইউরোপীয়রা প্রতিবারই রাশিয়াকে ধোঁকা দিয়েছে। তাই পারস্পরিক আস্থায় ফিরে না আসা পর্যন্ত ইউরোপের সঙ্গে মস্কোর সম্পর্ক ঠিক হবে না বলেও উল্লেখ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। শিগগিরি উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া হতে পারে, এমন আভাসও পাওয়া গেছে পুতিনের বক্তব্যে।

পুতিন বলেন, ‘এই অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাশিয়ার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার চুক্তি রয়েছে। চুক্তির চতুর্থ ধারায় বলা হয়েছে তৃতীয় রাষ্ট্রের আগ্রাসনের শিকার হলে মস্কো ও পিয়ংইয়ং একে অপরকে সহায়তা করবে। তাই যৌথ সামরিক মহড়া হতেই পারে।’

তবে এখনো রাশিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগ করলে যুদ্ধ জয় সম্ভব বলে মনে করছে ইউক্রেন। বুদাপেস্টে ইউরোপীয়ান পলিটিক্যাল কমিউনিটি সম্মেলনে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জানান, দ্রুত যুদ্ধ শেষ করা অর্থ হতাহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া। তাই ট্রাম্প যেভাবে যুদ্ধ শেষ করতে চাচ্ছেন, তেমন পরিকল্পনা গ্রহণ নাও করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন জেলেনস্কি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্রুত যুদ্ধ শেষ করতে চান। আমরাও চাই। তবে এর অর্থ হতাহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া। তাই তিনি এমনটা চাইলেও আমরা এমন পরিকল্পনা নাও গ্রহণ করতে পারি। আমার মনে হয়, ট্রাম্পের পক্ষ থেকে সংঘাত নিরসনে বিভিন্ন প্রস্তাব দেয়া হবে। সেটির জন্য অপেক্ষা করছি।’

কুরস্ক অঞ্চলে রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধরত ১১ হাজার উত্তর কোরীয় সেনার মধ্যে অনেকেই হতাহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট।

এএইচ