তবে পাইকারি ব্যবসায়ী ও খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি আমদানি বেশি হলেও তেমন একটা দাম কমেছে না আলুর। আর আমদানিকারকরা বলছেন ভারতের বাজারে আলু দাম বাড়ার বেশি দামে আমদানি করতে হচ্ছে যার প্রভাব পড়েছে দামে।
সরকার আলুর দাম সহনীয় পর্যায়ে ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ৫ সেপ্টেম্বর আলু আমদানিতে
২৫ শতাংশ শুল্ক থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ ও নিয়ন্ত্রণ শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয়। শুল্ক কমানোর তেমন একটা প্রভাব পড়েনি আলুর দামে। এই বন্দর দিয়ে ডায়মন্ড ও কাটিনাল এই দুই ধরনের আলু আমদানি হচ্ছে।
গেলো সপ্তাহের সোমবার (৪ নভেম্বর) বন্দরে প্রতিকেজি আলু ৪৮ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। হঠাৎ করে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সেই আলু বন্দরে বিক্রি হয় ৫৭ থেকে ৫৮ টাকা কেজি দরে আবার বুধবার (৬ নভেম্বর) একই দামে বিক্রি হলেও বৃহস্পতিবার রেকর্ড পরিমাণ আলু আমদানি হওয়ায় কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে।
হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি ব্যবসায়ী রাসেল বলেন, 'বন্দরে আলু আমদানি যেভাবে হচ্ছে দাম সেভাবে কমছে না। হুটহাট করে দাম উঠানামা করায় আমাদের আলু কিনতে সমস্যা হচ্ছে। আমরা এই বন্দর থেকে আলু কিনে দেশের বিভিন্ন মোকামে পাঠায়। দাম যত কম হবে তত আমাদের জন্য ভালো।'
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক নুর ইসলাম বলেন, 'দেশের বাজারে আলুর দাম স্বাভাবিক রাখতে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা বিপুল পরিমাণ ভারত থেকে আলু আমদানি করছে। যাতে দেশে আলুর দাম কমে আসে। আজ (শুক্রবার, ৮ নভেম্বর) বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে তাই বাজারে সরবরাহ ঠিক রাখতে গতকাল বৃহস্পতিবার রেকর্ড পরিমাণ আলু আমদানি হয়েছে। আলু আমদানি বাড়লে দাম আরো কমে আসবে।'
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা শফিউল ইসলাম বলেন, 'আমদানিকারকরা যাতে আলু আমদানি করে দ্রুত বাজারজাত করতে পারে সেজন্য কাস্টমসের সকল প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে ব্যবসায়ীদের সবধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।'