পঞ্চগড় শহরের পৌর সুপার মার্কেট। স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রসারে ১২ কোটি ব্যয়ে দৃষ্টিনন্দন মার্কেটটি নির্মিত হয়। তবে গেল দুই বছরের বেশি সময় অব্যবহৃত পড়ে আছে মার্কেটটি।
২০২২ সালের জুলাইয়ে নির্মিত পৌর মার্কেটটিতে রয়েছে ৪৬টি দোকান। এছাড়াও রয়েছে নামাজঘর, আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিংসহ নানা সুযোগ-সুবিধা। দোকানের আকার অনুযায়ী ৩ বছরের জন্য জামানত ৪০ হাজার থেকে ৬৫ হাজার টাকা এবং ৬ বছরের জন্য ৭৮ হাজার ৫০০ থেকে ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর মাসিক ভাড়া ধরা হয়েছে ৭০০ থেকে ১২০০ টাকা। তবে দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকায় নষ্ট হচ্ছে মার্কেটের অবকাঠামো।
পৌর কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকবার দোকান বরাদ্দের বিজ্ঞপ্তি দিলেও ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে সাড়া মেলেনি। মূল বাজার থেকে খানিকটা দূর আর জামানতের টাকার পরিমাণ বেশি হওয়ায় আগ্রহী হচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। জায়গাটি মার্কেটের জন্য উপযুক্ত নয় বলেও জানান কেউ কেউ।
সাধারণ সম্পাদক, বস্ত্র বিক্রেতা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ বলেন দোকানদার বা শোরুমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টি আকর্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে এবং প্রাথমিক পর্যায়ে খুব সহজলভ্য করতে হবে। যাতে মার্কেটটি অতি দ্রুত চালু করা যায়
পঞ্চগড় চেম্বার অব কমার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট, মেহেদী হাসান খান বাবলা বলেন, ‘যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে তা একটু বেশি হয়েছে, যার কারনে ব্যবসায়ীরা আগ্রহী হচ্ছেন না, এজন্য প্রয়োজনে চেম্বার অব কমার্স, বণিক সমিতি ও ব্যবসায়িক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে একে আরো সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে এসে আগে মার্কেটটি চালু করা দরকার। আসলে মার্কেট চালু করাটাই হচ্ছে এখন মূল চ্যালেঞ্জ।’
পৌর প্রশাসক বলছেন, ‘দোকান বরাদ্দের জন্য আবারো বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে। মার্কেটটি চালু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
পঞ্চগড় পৌরসভার পৌর প্রশাসক আব্দুল কাদের বলেন,‘সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা আবারো ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছি এবং সে অনুসারে যারা আগ্রহী আছেন তাদের অনুকূলে আমরা বরাদ্দ দেবার চেষ্টা করবো’
নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ প্রকল্পের আওতায় পঞ্চগড় পৌর সুপার মার্কেটটি নির্মিত হয়। শর্ত শিথিল করে মার্কেটটি দ্রুত চালু করা গেলে বাড়বে পৌর কর্তৃপক্ষের রাজস্ব আয়।