এখন টিভির কাছে এই টুর্নামেন্ট ও বাংলাদেশের নারী ফুটবল সম্পর্কে জানান ঋতুপর্ণা।
টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে কেমন লাগছে?
আমি কখনও ভাবিনি যে আমি টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হবো। সেরা খেলোয়াড় হওয়াটা আসলে পুরো দলেরই একটা অবদান। আমি তো আর একা খেলিনি, আমার টিমমেটরা সাহায্য করেছে, কোচ আছেন এই সাফল্যের পেছনে। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে যখন নাম বলে তখন এটা অবিশ্বাস্য ছিল, আমি বিশ্বাসই করতে পারিনি যে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা খেলোয়াড় হবো।
এখন টিভির ক্রীড়া সাংবাদিকের সঙ্গে টুর্নামেন্টের কথা বলছেন ঋতুপর্ণা চাকমা। ছবি: এখন টিভি
নারী ফুটবল দলের সাবেক কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেছেন, আপনারা যে বয়সে রয়েছেন, আপনাদের সেরাটা এখনও দেখেনি বাংলাদেশ বা বিশ্ব। সেই দিকে আপনারা কতটা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বা সামনে আরও কী কী অপেক্ষা করছে? আপনাদের লক্ষ্যটা আসলে কী?
আমাদের নারী ফুটবল দলকে যদি একটু নজর দেয়া হয় বা ভালোভাবে পরিচর্যা করলে শুধু সাফের ট্রফি না এশিয়ার ভেতর ভালো একটা দল, ভালো একটা ট্রফি উপহার দেবে এটা আশাবাদী।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় অভিব্যক্তি কেমন?
এই শিরোপার জার্নিটা আমাদের অনেক কঠিন ছিল। এবারের সাফে প্রতিটি দলই অনেক স্ট্রং ছিল। প্রথম ম্যাচে আমরা পাকিস্তানের সাথে ড্র করেছিলাম। আগের সাফে (সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২২) আমরা পাকিস্তানকে ছয় বা সাতটা গোল দিয়েছিলাম। সেখানে এবার ম্যাচ হারতে হারতে ড্র করেছি। প্রথম ম্যাচে এই রেজাল্ট হওয়ার পর আমাদের মিডিয়া কিছু নেগেটিভ নিউজ করেছিল, অনেকে বাজে মন্তব্যও করেছিলেন। এই নেগেটিভিটি দেখার পর আমাদের আরও সাহস জুগিয়েছে। প্রথম ম্যাচে আমরা যেহেতু ড্র করেছি, একটি লক্ষ্য নিয়ে গিয়েছিলাম যে আমরা ফাইনালে যাবো, ফাইনাল খেলবো।
ব্যক্তিগতভাবে আগামীতে কোন জায়গায় দেখতে চান?
ব্যক্তিগতভাবে আমি আরও দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ফুটবলের সাথে থাকতে চাই, বাংলাদেশকে ভালো কিছু উপহার দিতে চাই, এর থেকে ভালো ফলাফল দিতে চাই। সবাই দোয়া করবেন যে এই সফলতাটা ধরে রাখতে পারি।