ডিম, কাঁচা মরিচের পর এবার নিত্যপণ্যের বাজারে দাপট দেখাচ্ছে আলু, পেঁয়াজ ও চালের দাম। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি চালে বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা। আর প্রতি বস্তায় সেটা বাড়ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা। পাইকারদের দাবি বড় বড় চাল বিক্রির প্রতিষ্ঠান মজুত করে সংকট তৈরি করেছে।
পাইকারদের একজন বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ যে পরিমাণ চাল উৎপাদন হচ্ছে তা চলার মতো না। শুধু কৃত্রিম সংকট দেখিয়েছে কর্পোরেট কোম্পানি গুলো।’
স্বস্তি নেই আলু ও পেঁয়াজের দামেও। কয়েক দিনের ব্যবধানে আলু কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। আর তাতেই খুচরা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। অন্যদিকে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, দাম বাড়ার কারণ পর্যাপ্ত উৎপাদন না থাকা। একই কথা বলছেন আলুর বিক্রেতারাও।
আলু বিক্রেতাদের একজন বলেন, ‘দাম কমার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। দাম বেড়েই চলছে।’
পেঁয়াজ বিক্রেতাদের একজন বলেন, ‘দেশি পেঁয়াজের সংকট রয়েছে।’
প্রতিনিয়তই নিত্যপণ্যের এমন উচ্চমূল্যে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
ক্রেতাদের একজন বলেন, ‘সব কিছুর দাম অনেক। গত মাসে যা দিয়ে কিনেছে তার থেকে এই মাসে বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে।’
এদিকে, কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে কাঁচা বাজারের দাম। শীতকালীন শাকসবজির সরবরাহ বাড়ায় প্রায় সব কিছুরই দাম কমেছে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা। আর গেল সপ্তাহে ২শ' টাকার কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে।
এছাড়া, বিভিন্ন মাছেও দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। তবে মুরগির মাংসের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত।