নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান

.
কাঁচাবাজার
বাজার
0

রমজানের মাঝপথে এসে কমতে শুরু করেছে বেশকিছু নিত্যপণ্যের দাম। এছাড়া প্রায় সব নিত্যপণ্যের দামই স্থিতিশীল রয়েছে। এদিকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ। আর নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে ভোক্তা অধিদপ্তর।

প্রতিবছর রমজান আসলেই যেন দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় নামতো নিত্যপণ্যের ব্যবসায়ীরা। ফলে বাজার সামলাতে হাঁসফাঁস অবস্থা হতো ক্রেতাদের। তবে এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। রমজনের শুরু থেকেই বেশিরভাগ পণ্যের দামই স্থিতিশীল রয়েছে। এমনকি এবারের রোজার শুরুর দিকে যেসব পণ্যের দাম কিছুটা বেশি ছিল সেগুলোও এখন কমতে শুরু করেছে।

আজ (শুক্রবার, ১৪ মার্চ) সকাল থেকে রাজধানীর একাধিক বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত রমজানে যেই শসা কেজিতে ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা, সেই শসা এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। এছাড়া বেগুনের দামও কেজিতে ১০ থেকে ২০ কমে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। এদিকে মানভেদে লেবুর দাম কমলেও এখনও নাগালের বাইরে। যদিও বাজার ভেদেও কিছু কিছু পণ্যের দাম কম বেশি রয়েছে।

ক্রেতাদের একজন বলেন, ‘অন্যান্যবারের তুলনায় এবার দাম অনেকটাই কম।’

ক্রেতাদের মধ্যে আরেকজন বলেন, ‘গতবারের তুলনায় এই রমজানে প্রত্যেকটি সবজির দাম কিছুটা কম আছে, শুধু লেবুর দাম একটু বেশি।’

এদিকে, স্বস্তির খবর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ। শিগগিরিই সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার প্রত্যাশা বিক্রেতাদের।

বিক্রেতাদের একজন বলেন, ‘তেলের সরবরাহ এখন মোটামুটি ঠিক আছে, তবে আরেকটু সরবরাহ দিলে ভালো হত, আর কোন সংকটই থাকতো না।’

আরেকজন বলেন, ‘বাজারে এবার সবকিছুর দামই কম, বাজারে তেল ছিল না, এখন আছে যথেষ্ট। যে পরিমাণ তেল এখন বাজারে আছে সেই পরিমাণে চাহিদা নেই।’

অন্যপণ্যের মতো দাম কমেছে ব্রয়লার মুরগি ও পাকিস্তানি মুরগির দামও। রমজানের শুরুতে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ২০০ থেকে ২১০ টাকা, আর এখন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়।

এদিন নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে বাজারে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর। একইসাথে ঈদ সামনে রেখে যাতে কোন পণ্যের দাম বাড়াতে না পারে সেদিকে বিশেষ নজরদারি চলছে। টাউনহল বাজারে মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্যসহ অনিয়মের কারণে ৪ দোকানকে জরিমানা করা হয়।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফাহমিনা আক্তার বলেন, ‘আমরা বাজারে আছি, চলে যাচ্ছি না। এখানে কারসাজির কোনো সুযোগ নেই। ঈদের আগে এই সময় কারসাজির চেষ্টা করলে জরিমানার পরিমাণ অনেক বেড়ে যাবে।’

ধীরে ধীরে বাজার সিন্ডিকেট মুক্ত করার আহ্বান জানান ক্রেতারা।

এসএইচ