জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশে প্রচুর পরিমাণ জ্বালানি গ্যাসের সংকট রয়েছে। গ্যাস আমদানিতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতে হয়। তাই গ্যাস সংকট দূর করতে ভোলাতে পরিকল্পনা করে ২০২৫ সালের মধ্যে ৫টি গ্যাস কূপ খনন করা হবে। আর ২০২৮ মধ্যে আরো ১৪ টি সর্বমোট ১৯ গ্যাসকূপ খনন করার পরিকল্পনা আছে।’
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে এখনো গ্যাসের তীব্র সংকট চলছে। আমাদের এখন ৪ হাজার এমসি গ্যাস দরকার, সেখানে আমরা পাচ্ছি মাত্র ২ হাজার। আমরা বর্তমানে বিভিন্ন দেশ থেকে গ্যাস আমদানি করছি, এতে আমাদের বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হচ্ছে।’
ফাওজুল কবির বলেন, ‘ঘাটতি মেটানোর জন্য বছরে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার এলএনজি আমদানি করা হয়। আমরা জোরালোভাবে চেষ্টা করছি নতুন গ্যাস ফিল্ড তৈরি করে গ্যাস উৎপাদনমুখী হওয়ার।’
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন থেকে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা ছাড়া কোনো প্রকল্প গ্রহণ করা হবে না এবং টেন্ডার মাধ্যমে যার কাছে ভালো প্রস্তাব পাবো আমরা তাকেই কাজ দিবো। এসব ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শ নেওয়া হবে। কোনো অনিয়ম করতে দেওয়া হবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সব বড় প্রকল্প গ্রহণ করেছি। কিন্তু মানুষের প্রয়োজনটাকে গুরুত্ব দেইনি, তাই এ ধরনের বড় প্রকল্পে দুর্নীতি বেশি হয়েছে। আমরা জনগণের চাহিদাকে গুরুত্ব দিতে চাই।’
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ‘এ মুহূর্তে বাসাবাড়িতে গ্যাস দেওয়া হবে, আমাদের জন্য এটি মিথ্যা আশ্বাস। আমি যেহেতু রাজনীতি করবো না তাই এ ধরনের মিথ্যা আশ্বাস দিবো না। তবে ভবিষ্যতে সারা দেশে গ্যাস সরবরাহ বাড়লে তখন এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে।’
ভোলায় সফর সম্পর্কে অন্তর্বর্তী সরকারের এ উপদেষ্টা বলেন, ‘এখানে আসার উদ্দেশ্য হলো আরও গ্যাস পাওয়া যায় কি না সেটার সম্ভাবনা এবং কি করলে আরও বেশি গ্যাস পাওয়া যাবে সেটা দেখা। এখানে (ভোলায়) যে গ্যাস আবিষ্কৃত হয়েছে সেই গ্যাসের পূর্ণ ব্যবহার হচ্ছে না। সেটার কিভাবে পূর্ণ ব্যবহার করা যায় সেই বিবেচনা করা।’
এ সময় ভোলার বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান ও গ্যাসভিত্তিক শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠার আশ্বাস দেন তিনি।
সফরে উপদেষ্টার সঙ্গে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান, ভোলা জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।