সাফ ফাইনাল উপলক্ষে রঙ্গশালা যেনো মেতেছিল উত্তেজনার উৎসবে। প্রথমার্ধে বাংলাদেশ-নেপাল দু'দলই একে অন্যের সীমানায় মুহুর্মুহু আক্রমণ করেছে। তবে ধরা দেয়নি সাফল্য। অবশ্য গোল করার প্রথম সুযোগটা বাংলাদেশই পেয়েছিল। তবে কাজে লাগাতে পারেনি তহুরা খাতুনরা। আর নেপালের ভাগ্য আটকে যায় ক্রসবারে।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৩ মিনিটে দশরথে স্টেডিয়ামের ১৫ হাজার দর্শককে স্তব্ধ করে দিয়ে মনিকা চাকমার গোলে ১-০তে লিড নেয় বাংলাদেশ। তবে চার মিনিটের ব্যবধানেই আমিশা কারকির গোলে সমতা ফেরায় নেপাল। কিন্তু দমে যায়নি বাংলাদেশ।
৬৮ মিনিটে মারিয়া মান্ডার দূরপাল্লার শট কিংবা ৭৮ মিনিটে ঋতুপর্ণার ক্রস থেকে শামসুন্নাহার জুনিয়রের সহজ সুযোগ মিস। গোলের দেখা না পেলেও অব্যাহত থাকে সাবিনাদের আক্রমণ। অবশেষে প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে ৮১ মিনিটে ঋতুপর্নার ম্যাচ উইনিং গোলে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে সফল বাংলাদেশ।
অনিয়মিত বেতন-ভাতা। পর্যাপ্ত প্রস্তুতির সুযোগ না পাওয়া কিংবা কোচের সাথে খেলোয়াড়দের মানসিক দ্বন্দ্ব। সব প্রতিবন্ধকতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনল নারী ফুটবলাররা।
সাবিনা-ঋতুপর্ণারা ধারাবাহিকতা বজায় রাখছেন কিন্তু বাফুফে কি তাদের সুবিধা দেয়ার ক্ষেত্রে ধারাবাহিক? টানা সাফল্যের পর এবার নিশ্চয় টনক নড়বে কর্তৃপক্ষের নাকি ছাদখোলা বাসেই শেষ হবে আনুষ্ঠানিকতা।