সংবিধান মেনে দেশ পরিচালনার বুলি আওড়ালেও অসাংবিধানিকভাবে দেশ শাসন করেছে আওয়ামী লীগের দুই প্রজন্মের দুই শাসক পিতা ও কন্যা। এমন অভিযোগের প্রেক্ষাপটে অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ কোন পথে ধাবিত হবে? সেই প্রশ্নের মীমাংসা এখন জরুরি বিষয়।
৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর দেশ সংস্কারের দায়িত্ব নিয়েছে জেনারেশন-জি। আর সংস্কারকে টেকসই করতে হলে সংবিধান বদলানোর বিকল্প নেই। তবে কোন পন্থায় সংস্কার হবে? পরবর্তী দেশ পরিচালনার রূপরেখা কী হবে? কিংবা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব কার হাতে যাবে? রাজনৈতিক দল ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে সে উত্তর খুঁজছে তরুণ নেতারা।
সোমবার প্রেসক্লাবে ইনকিলাব মঞ্চের আলোচনা সভায় বর্তমান সংবিধান না রাখার পক্ষে মত দেন বড় দুই দল বিএনপি-জামায়াতসহ একাধিক রাজনৈতিক দল। তবে রাষ্ট্রপতির অপসারণ প্রশ্নে অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে ভিন্নমত বিএনপি'র।
সভায় জামায়াত নেতারা বলেছেন, হাসিনার পদত্যাগ ইস্যুতে দু'ধরনের বক্তব্য দিয়ে রাষ্ট্রপতি নীতি বহির্ভূত কাজ করেছেন। তাই এ পদে থাকার অধিকার তার নেই।
শেখ হাসিনার পদত্যাগ পরবর্তী বিপ্লবী সরকার গঠন করলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এতো জটিল হতো না মন্তব্য করে দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান। তিনি জানান, রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করে ড. ইউনূসের রাষ্ট্রপতি হওয়াই এখন সমাধান।
ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচার পতন হলেও শহীদ ও আহতদের যথাযথ মূল্যায়ন এখনও হয়নি বলে উল্লেখ করেন আলোচনা সভার বক্তারা।