গতকাল (রোববার) ডিবি থেকে জানানো হয়, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এজাহারনামীয় আসামি ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে এ অভিযান চালানো হয়েছে।
অভিযানের নামে বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগও উঠেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফটকের তালা ভেঙে একদল লোক বাসার ভেতরে গিয়ে প্রথমে সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করে। পরে বাসার চারটি কক্ষের আসবাব ভাঙচুর ও তছনছ করা হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর বাসা থেকে বেরিয়ে যান ওই ব্যক্তিরা। এ সময় তারা একটি কার্টন ও দুটি বাজারের ব্যাগে ভরে বেশ কিছু জিনিসপত্র নিয়ে যান বলেও জানানো হয়।
তবে ডিবি সদস্যরা ওই বাসা থেকে কোনো কিছু নেন নি বলে দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে রাতেই ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ‘অভিযান সম্পর্কে বিভ্রান্তির কোনো কারণ নেই। ডিবি পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। অস্ত্র উদ্ধার ও আসামি গ্রেপ্তারের জন্য ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। তবে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি।’
গাজীর বাসার নিরাপত্তাকর্মী জানান, শনিবার রাত ২টার দিকে বাসার পেছনের ফটকের সামনে কয়েকজন ডাকাডাকি শুরু করেন। তিনি এগিয়ে গেলে তারা পুলিশের লোক পরিচয় দিয়ে ফটক খুলে দিতে বলেন। ভয়ে তিনিসহ দু'জন নিরাপত্তাকর্মী ফটক না খুলে দেয়াল টপকে পাশের একটি বাড়িতে চলে যান। পরে তারা ওই বাড়ির জানালার কাছে বসে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। ডিবি পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিদের একজন দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে একটি রড দিয়ে তালা ও গ্রিল ভাঙেন। পরে দু'জনকে ফটকে রেখে অন্যরা বাসার ভেতরে ঢোকেন। তারা ভোর ৫টার দিকে বেরিয়ে যান। তিন ঘণ্টার মতো তারা বাসায় ছিলেন। পরে ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখেন- সব তছনছ। জিনিসপত্র ছড়ানা ছিটানো অবস্থায় খাট ও মেঝেতে পড়ে আছে। আলমারির দরজাগুলো ভাঙা।
অভিযানের বিষয়ে প্রথমে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ‘ডিবির কোনো দল সেখানে অভিযানে যায়নি।’
এর পর রাতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ওই বাসায় অভিযানে গিয়েছিল ডিবি।
পরে এ বিষয়ে উপকমিশনার তালেবুর রহমান একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠান। এতে বলা হয়, ‘ডিবির নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে একটি টিম আইন ও বিধি অনুসরণপূর্বক গোলাম দস্তগীরের বাসায় তল্লাশি চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাসার দারোয়ান পালিয়ে যান। পরবর্তী সময়ে স্থানীয় থানা-পুলিশের সহায়তায় বাসায় তল্লাশি অভিযান সমাপ্ত করে ডিবির টিম ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।’