ট্রেনে থাকা যাত্রীরা জানান, কমলাপুর থেকে ছাড়ার দুই-তিন মিনিটের মধ্যেই বিকট শব্দে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এসময় ট্রেনটির ৫ থেকে ৬টি বগি লাইনচ্যুত হয়। বগি উদ্ধারের পর কখন ট্রেনটি যাত্রা করবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় অনেকে ট্রেন থেকে নেমে রাতে স্টেশনেই অবস্থান করে।
কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে ছেড়ে আসার কিছু সময়ের মধ্যে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এ ঘটনায় যাত্রীরা বেকায়দায় পড়েছেন। বেশ কিছু ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন উত্তরাঞ্চলের যাত্রীরা।
কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘শিডিউল বিপর্যয়ে কারণ গতরাতের বগি লাইনচ্যুত, চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা। ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় শিডিউল বিপর্যয় পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোতে। যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির পরিবর্তে ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে ট্রেন চলাচল শুরু করেছে। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ট্রেন চলাচল করতে দুয়েক দিন সময় লাগবে। রাত ১২ টার পর ৫টি ট্রেন ছেড়ে গেছে যেখানে ১২টি ট্রেন ছেড়ে যাবার কথা। শিডিউল বিপর্যয়ের ফলে পুরো সিষ্টেমে গোলযোগ হয়েছে।’
দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে রেল কর্তৃপক্ষ। শিডিউল বিপর্যয় কখন স্বাভাবিক হবে তা বলতে পারছে না রেল কর্তৃপক্ষ।