চেনা চেনা লাগে তবু অচেনা! মিরপুরের উইকেটে খেলে চাপা আর্তনাদ করতেই পারেন শান্তরা। ঘরের মাঠ হলেও এই উইকেট যেন বাংলাদেশের ব্যাটারদের কাছে দুর্বোধ্য ধাঁধা।
স্পিনস্বর্গে স্বাগতিকদের নাকানিচুবানি খাইয়েছে প্রোটিয়া পেসাররা। রাবাদা আর মুল্ডারের গতি-সুইংয়ে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছেন ১৩ জন ব্যাটার। অথচ নিজেদের উইকেট পড়তে না পেরে তিন স্পিনার নিয়ে অ্যাটাক সাজায় শান্তরা!
সংবাদ সম্মেলনে বাক্পটু অধিনায়কের পরিবর্তে মিরাজ। প্রশ্নের ইনসুইঙ্গারে সলিড ডিফেন্স করলেন, ভণিতা না করে দায় নিয়েছেন নিজেদের কাঁধেই।
মিরাজ বলেন, ‘হোম কন্ডিশনে সবারই এক্সপেকটেশন থাকে। আমাদেরও থাকে, প্রত্যেকটা মানুষেরই থাকে। আমরা এক্সপেকটেশন অনুযায়ী খেলতে পারিনি, আমরা অবশ্যই সেটা স্বীকার করছি। অবশ্যই এটা আমাদের ব্যর্থতা। আমরা টিম ওয়াইজ খেলতে পারিনি।’
দ্বিতীয় ইনিংসেও শান্ত-লিটনরা ব্যর্থ হলে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মিরাজ। তার ব্যাটে ভর করেই ইনিংস ব্যবধানে হারের লজ্জায় পড়তে হয়নি স্বাগতিকদের। টপ অর্ডারের ব্যর্থতার আক্ষেপ থাকলেও ব্যাট ধরলেন সতীর্থদের পক্ষেই।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যাটসম্যানরা ইনিংস খেলেছে কিন্তু সেটা বড় হয়নি। আপনি দেখেন যে, টপ অর্ডারে অনেক সময় একজন প্লেয়ার ভালো করে। আরেকজন প্লেয়ার যে ৩০ করে আউট হয়েছে, তার ইনিংসটা ৭০ রানের হলে টপ অর্ডারের চিত্রটা আরো ভালো হতো।’
দেশের বাইরে গিয়ে ম্যাচ হারলে সমর্থকরা মজা নেন এই বলে, ‘মিরপুরে আসলে বার্নিশ করে দেবো।’ কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে এখন পর্যন্ত হোম অব ক্রিকেটে জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ।