লটারির মাধ্যমে শনিবার (১৯ অক্টোবর) থেকে ট্রাম্প সমর্থকদের প্রতিদিন ১০ লাখ ডলার করে দেয়া শুরু করেছেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ইতোমধ্যে দু'জনকে ২০ লাখ ডলারের চেকও বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে প্রথম বিজয়ীর নাম জন ড্রেহার।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগ মুহূর্তে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন জানিয়ে এমন কর্মকাণ্ডে নামায় ইলন মাস্ককে নিয়ে ডেমোক্রেট শিবিরে সমালোচনার ঝড় বইছে। নির্বাচনের দিন পর্যন্ত ট্রাম্পের সমাবেশে প্রতিদিন ১০ লাখ ডলার করে দেয়ার এই প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন পেনসিলভেনিয়ার গভর্নর জোশ শাপিরো। মার্কিন গণমাধ্যম এনবিসি নিউজে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে মার্কিন এই ধনকুবেরের দেয়া প্রতিশ্রুতির বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
জোশ শাপিরো বলেন, 'পেনসিলভেনিয়াতে নিবন্ধিত ভোটারদের মাঝে মাস্কের অর্থ দেয়ার পরিকল্পনা গভীরভাবে উদ্বেগজনক। এখানে অবৈধ অর্থ বৈধ করা হচ্ছে কিনা তা নিয়ে এখনই আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে তদন্ত করে দেখে উচিত।'
মূলত মার্কিন সংবিধানের প্রথম ও দ্বিতীয় সংশোধনীর পক্ষে করা মাস্কের পিটিশনে যারা স্বাক্ষর করবেন লটারির মাধ্যমে প্রতিদিন তাদের মধ্যে একজনকে বেছে নেয়া হচ্ছে। পুরো অর্থই দেয়া হচ্ছে ট্রাম্প-সমর্থক রাজনৈতিক কার্যক্রম কমিটি 'আমেরিকা প্যাক' এর মাধ্যমে।
ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কামালা হ্যারিসকে হারাতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ইলন মাস্ক। লটারি ছাড়াও কারি কারি অর্থ খরচ করছেন তিনি। ট্রাম্পকে সমর্থনের জন্য 'আমেরিকা প্যাক' কমিটিকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে সাড়ে সাত কোটি ডলার দিয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ধনকুবের। ইলন মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ ২৪০ বিলিয়ন ডলারের বেশি।