খেতে ও খাওয়াতে যারা ভালোবাসেন, সিয়াল ফুড ফেস্টিভাল নিয়ে তাদের উৎসাহ বরাবরঅই থাকে তুঙ্গে। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে আয়োজিত এবারের সিয়াল ফেয়ারও তার ব্যতিক্রম নয়। খাদ্যপ্রেমী, পেশাদার ও সৌখিন রাঁধুনী, নাম করা খাদ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের পদচারণায় মুখর সিয়াল ফুড ফেস্টিভাল।
শুধু সংশ্লিষ্টরাই নন, ৬০ বছরে পা দেয়া বিশেষ এই মেলা ঘুরে দেখার সুযোগ ছাড়েননি দেশি-বিদেশী পর্যটক ও নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।
৫ দিন ব্যাপী এবারের আয়োজনে অংশ নিয়েছে ১২০টিরও বেশি দেশ, স্টলের সংখ্যা ৭ হাজার ২০০। নামীদামী ব্র্যান্ডের সাথে এবারের মেলায় স্টল সাজিয়েছে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানও। নতুন নতুন খাবারের সাথে পরিচিত হওয়া, বিভিন্ন দেশের রান্নার ধরণ সম্পর্কে জানার পাশাপাশি নিজেদের পণ্যের প্রদর্শনী করতে পেরে খুশি বাংলাদেশি উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, এতে করে ব্যবসা প্রসারের সুযোগ বাড়বে, তেমনি বাংলাদেশি পণ্য পৌঁছে যাবে বিশ্বের নানা প্রান্তে।
বাংলাদেশি বিক্রয়কর্মীদের একজন বলেন, ‘বিদেশি অনেক বায়ারের সাখে আমাদের কথা হচ্ছে।’
আরেকজন বলেন, ‘ব্যবসায়ী হিসেবে ভালো একটা সুযোগ কাজ করে। কারণ হচ্ছে বিশ্বের হাজারো কোম্পানি এখানে আসে।’
প্রথমবারের মতো অংশ নিয়ে দর্শণার্থী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নজর কেড়েছে সিটি গ্রুপের স্টল। তীর, বেঙ্গল, সান, ন্যাচেরাল, জীবন, কুইকবাইট, জেলফির মতো জনপ্রিয় ব্যান্ডের পণ্য নিয়ে মেলায় হাজির হয়েছে ৫২ বছরের পুরনো এই খাদ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানটি। মেলার প্রথম দিন স্টলে উপস্থিত ছিলেন সিটি গ্রুপের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের পরিচালক লুতফুল কবির শাহীন। তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে প্রস্তুতকৃত মানসম্মত ক্যান্ডির প্রদর্শনী করতে পেরে গর্বিত প্রতিষ্ঠানটি।
সিটি গ্রুপ বিজনেস ডেভেলপমেন্ট পরিচালক লুতফুল কবির বলেন, সিটি গ্রুপের জন্য সিয়ালে ফেয়ারে এইটা প্রথম। আমরা রপ্তানিকে দেখি ভিন্নভাবে। এইটা যেমন সিটি গ্রুপের জন্য আয় তেমনি বাংলাদেশের রির্জাভের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
প্রচলিত ও জনপ্রিয় খাবারের ট্রেন্ড, টেকসই খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা, নতুন খাবারের উদ্ভাবন সব মিলিয়ে এবারের মেলা বিগত যে কোনো বছরের সিয়ালের ফেয়ারের চেয়ে আলাদা। প্রকৃতি থেকে পাওয়া টাটকা খাবারের পাশেই ছিল এআই প্রযুক্তি নির্ভর খাদ্য প্রস্ততকারী যন্ত্রের প্রদর্শনী। দর্শণার্থীরা বলছেন, এ ধরণের আয়োজন শুধু খাবারের প্রতি ভালোবাসাই বাড়াবে না তরুণ উদ্যোক্তাদের উৎসাহও জোগাবে।