ডিমের বাজারের অস্থিরতা কমাতে বাজারে অভিযানে নামে ভোক্তা অধিদপ্তর। কিন্তু তাতে দাম তো কমেইনি উল্টো সরকার নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রি করতে না পারার অজুহাতে আড়ত বন্ধ রেখেছেন চট্টগ্রামের পাহাড়তলীর ব্যবসায়ীরা। তবে গোপনে বেশি দামে ডিম বিক্রির অভিযোগ আছে তাদের বিরুদ্ধে।
একজন পাইকারি ডিম ক্রেতা বলেন, সাদা ডিমটা নিলাম এক হাজার ৮৫০ টাকায়। আর ফার্মের লাল ডিম নিলাম এক হাজার ৪০০ টাকায়। আড়তে ডিম নেই।'
ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান এবং গণমাধ্যমের উপস্থিতি টের পেয়ে পাহাড়তলী রেললাইনের পাশে ডিম ভর্তি ট্রাক ফেলেই পালিয়ে যায় চালক। লোকচক্ষুর আড়ালে রাখতে অন্তত ২০ হাজার ডিমবাহী ট্রাকটি ঢেকে দেয়া হয় ত্রিপল দিয়ে।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর উৎপাদক পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের মূল্য ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১১ টাকা ১ পয়সা ও খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা দাম নির্ধারণ করে দেয় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। তবে গাজীপুরের খামারে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকা ৮০ পয়সায়। কয়েক হাত ঘুরে পাইকারি বাজারে তা ১৩ টাকা ৪০ পয়সা আর ভোক্তার কিনতে হচ্ছে ১৫ টাকায়। খামারীরারা জানালেন, সমিতির নির্ধারিত দরের বাইরে গিয়ে ডিম বিক্রির সুযোগ নেই।
একজন খামারি বলেন, 'মার্কেটে যে পরিমাণ ডিম প্রয়োজন, কিন্তু সেই পরিমাণ ডিম নেই। এজন্যই এই ডিমের দাম বেড়েছে।'
দুই বছর আগের এক হাজার ৮০০ টাকা দরের প্রতি বস্তা লেয়ার মুরগির খাবারের দাম ছুঁয়েছিল তিন হাজার ১০০ টাকা। তবে গতদিন চার মাস ধরে কিছুটা কমে সেই খাবার বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৮৮৫ টাকায়। তবে সম্প্রতি বেড়েছে বেশ কিছু ওষুধের দাম। ফিড ব্যবসায়ীরা জানান, বিশ্ব বাজারে ভুট্টার দাম কমলেও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সে অনুপাতে দাম কমাচ্ছে না।
উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি ও হাত বদলের চক্করে চড়া দেশের অন্যান্য জায়গার ডিমের দাম। বগুড়া ও নওগাঁ@তেও খামার ও বাজারের দামের ব্যবধান প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে চার থেকে ছয় টাকা বেশিতে। এমন অবস্থায় ডিম না নিয়েই ফিরে যাচ্ছেন অনেক যাতে কমেছে বিক্রি।
২০২২ সালের মাঝামাঝি থেকে বাড়তে থাকে ডিমের দাম। ধাপে ধাপে প্রতি ডজনের দাম ছাড়িয়ে যায় ১৫০ টাকা। আর এবার সেই দাম ছাড়িয়েছে ১৮০ টাকা।