প্রবাস
0

প্রথমবার টাইমস স্কয়ারে পূজার আয়োজন, প্রশংসায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা

নিউইয়র্ক শহর ও এর আশেপাশের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় নানা উৎসব ও আয়োজনে শেষ হয়েছে শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। প্রথমবারের মতো টাইমস স্কয়ারে পূজার আয়োজন করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ৩৪টি পূজা মণ্ডপের প্রত্যেকটিতেই ভক্তদের জন্য ছিল প্রসাদের আয়োজন। প্রতিটি পূজায় খরচ হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার ডলার।

দেবী পক্ষের নবরাত্রি সূচনা ৩ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে শেষ হয়েছে ১২ অক্টোবর। বিশ্বের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত নিউইয়র্ক শহরের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় এখনও মহাসমারোহেয় চলছে দুর্গোৎসব।

১৯৯০ সালে নিউইয়র্ক শহরের কুইন্সে প্রথম দুর্গাপূজার আয়োজন করেছিল বাংলাদেশি অভিবাসীরা। এবার টাইমস স্কয়ারসহ নিউইয়র্কের আশেপাশে সবমিলিয়ে ৩৪টি পূজা মণ্ডপে দুর্গোৎসব হয়েছে। এর মধ্যে ১৬টিতে ছিল পাঁচ দিনের আয়োজন। পূজার অন্যতম আকর্ষণ সুস্বাদু প্রসাদ।

পূজা করতে আসা একজন বলেন, ‘পূজার অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে প্রসাদ খাওয়া। আর এখানে প্রসাদের মধ্যে অনেক ভেরিয়েশন থাকে।’

প্রতিটি পূজা মণ্ডপে হাজার হাজার পূজারি অংশগ্রহণ করেছেন। শঙ্খ এবং ঢাকের বাজনায় মুখর হয়ে উঠেছিল বাঙালি অধ্যুষিত এলাকাগুলো। পূজা আয়োজন সকাল থেকে শুরু হলেও সন্ধ্যারতির পরে জমে উঠে উৎসব।

নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের ওম শক্তি মন্দির সভাপতি গৌরাঙ্গ রায় বলেন, ‘দেশে-বিদেশে যে জায়গায় অশান্তি আছে সেগুলোতে শান্তি ফিরে আসুক। সবাই মিলেমিশে পূজা করবো। এটাই আমাদের কাম্য।’

নিউইয়র্কে ২০টির অধিক স্থায়ী মন্দিরে হয়েছে দুর্গা উৎসব। অন্যান্যগুলো নানা কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করে অস্থায়ীভাবে নির্মাণ করেছেন পূজা মণ্ডপ। সবগুলো আয়োজন ছিল বর্ণাঢ্য। প্রতি পূজায় কমপক্ষে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার ডলার খরচ হয়েছে। সবমিলিয়ে ১২ লাখ ডলার ব্যয়ে নিউইয়র্কে হয়েছে দুর্গোৎসব।

যুক্তরাষ্ট্রের হিন্দু মিলন মেলা পূজা কমিটির সভাপতি রাম দাশ ঘরামি বলেন, ‘আমাদের যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী সমস্ত হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই আমাদের পূজায় অংশগ্রহণ করেছেন। এবং কিছু কিছু ডোনেশন দিয়েছেন। সেই ডোনেশনের মাধ্যমেই এই পূজাটা সম্পন্ন হলো।’

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশি অভিবাসীরা একে অপরের উৎসবে অংশগ্রহণ ছাড়াও অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করে আয়োজনকে সাফল্যমণ্ডিত করেন।

নিউইয়র্কের আশা গ্রুপ অব কোম্পানির সভাপতি আকাশ রহমান বলেন, ‘আসলে আমরা একটা জিনিসে বিশ্বাস করি যে ধর্ম যার যার উৎসব সবার। বাঙালিরা যেকোনো অনুষ্ঠান করুক, সেটা পূজা, পার্বণ আর ঈদ যেটাই হোক, সবকিছুর সাথে যেন বাঙালি থাকে।’

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিদের অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক সারা মানব জাতিতে সেই প্রত্যাশা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের।

এসএস