২০২৩ সালে খালিস্তানপন্থী নেতা হরদীপ শিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারত জড়িত বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। হত্যার ঘটনা তদন্তে ভারতের সহযোগিতা চেয়েছিলেন তিনি। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে দেশটি জানায় রাজনৈতিক স্বার্থে তদন্তের নামে ভারতকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করেছেন ট্রুডো।
এ নিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছে। মাঝে আলোচনায় ছিল না ইস্যুটি। এবার নিজ্জার হত্যা মামলায় ভারতীয় হাইকমিশনার সঞ্জয় কুমার বর্মার নাম জড়িয়েছে কানাডা সরকার। তাকে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বলে উল্লেখ করেছে কানাডা। তাদের এই বিবৃতির জবাবে কানাডার ৬ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে নয়াদিল্লি। তাদের শনিবারের মধ্যে ভারত ছাড়তে বলা হয়েছে।
এদিকে, হত্যা, চাঁদাবাজি ও সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে ৬ ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে কানাডা। সন্দেহভাজন ব্যক্তি হিসেবে তাদেরকে তদন্তের আওতায় আনার কথা বলে কানাডা। এর জেরে কানাডায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নেয় ভারত।
কানাডার চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে তলব করে কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানায় ভারত। উভয় দেশের স্বার্থেই অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা দরকার বলে জানান এই কূটনীতিক।
কানাডিয়ান চার্জ ডি'অ্যাফেয়ার্সের স্টুয়ার্ট হুইলার বলেন, ‘ভারত দীর্ঘদিন ধরে যা চেয়েছিল কানাডা সরকার তাই করেছে। কানাডার মাটিতে একজন কানাডিয়ান নাগরিককে হত্যার সমস্ত প্রমাণ দিয়ে বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্ক বজায় রেখেছে। এখন, ভারতের জন্য সময় এসেছে। অভিযোগগুলির তদন্ত করা দুই দেশের জনগণের স্বার্থে পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।’
দুই দেশের সম্পর্কের অবনতির মধ্যে ২০২৩ সালের অক্টোবরে ভারত থেকে ৪০ জনেরও বেশি কূটনীতিককে প্রত্যাহার করে কানাডা।