আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের পুরোটা জুড়ে বাফুফে সভাপতি ছিলেন কাজী সালাউদ্দিন। ফুটবলপাড়ায় কান পাতলেই তার বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ শোনা যায়। বিশেষ করে নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ বেশ পুরোনো। এবার সভাপতি প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের কাছে প্রশ্ন ছিল, কীভাবে বারবার নির্বাচিত হতেন কাজী সালাউদ্দিন?
বাফুফে নির্বাচনে সভাপতি পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘ভোট চুরি এখানে সম্ভব না। যেটা হয়েছে সেটা প্রভাব খাটানো। ভয় ভীতি দেখানো, ভোট কেনা-বেচা এইটার অভিযোগ আমিও দিয়েছি।’
সহসভাপতি থাকাকালীন তাবিথ আউয়ালের কাছ থেকে ফুটবল উন্নয়নের নামে কোটি কোটি টাকা ধার নেয় কাজী সালাউদ্দিনের কমিটি। যদিও সে টাকা আজ পর্যন্ত ফেরত পাননি তাবিথ। দাবিও ছাড়েননি তিনি।
তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘যে টাকা আমি দিয়েছিলাম সেটা বেশিরভাগই চলে গিয়েছিল ন্যাশনাল টিমে খরচ করতে। নেক্সট কমিটি আমার টাকা ফেরত দিয়ে দেই আমি সেই অপেক্ষায় থাকবো।’
গেল কয়েক বছরে তলানিতে ঠেকেছে দেশের ফুটবল। দুর্নীতির অভিযোগে নেমে আসে ফিফার নিষেধাজ্ঞার খড়গও। সর্বোচ্চকর্তার পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল কাজ করতে চান এসব নিয়ে।
তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘যে ধরনের লেনদেন হয়েছে সেগুলোর যেন ঠিকভাবে অডিট হয়। পাতানো ম্যাচ, পয়েন্ট টেবিল, প্লেয়ার কেনাবেচায় অভিযোগও রয়েছে।’
কাজী সালাউদ্দিনের মত আর কেউ যেন বছরের পর বছর ধরে চেয়ার আঁকড়ে রাখতে না পারে সেজন্য সভাপতির চেয়ারে বসলে সংবিধান সংস্কারের ভাবনাও আছে বলে জানান তিনি।
স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে নির্বাচন করার কথা ভাবছেন তাবিথ আউয়াল। তবে মনোনয়ন কেনার পর যোগ্য সহযোগী পেলে প্যানেল করার কথা ভাবছেন তিনি।