শারদীয় দুর্গোৎসব ঘিরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রবাসীদের মাঝে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে পূজা উদ্যাপন করছেন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের প্রবাসীরা। দেশটির আজমান প্রদেশে পূজার আয়োজন করেছে প্রবাসী সনাতনী ঐক্য পরিষদ। ঢাকের বাদ্যের সঙ্গে উলুধ্বনিতে উৎসবমুখর পূজা প্রাঙ্গণ। ভক্ত, পূজারি ও দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়।
দর্শনার্থীদের মধ্যে একজন জানান, ১৫ বছর যাবৎ দুবাইতে এভাবে দুর্গাপূজা করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু আজ দুই বছর এই সুন্দর আয়োজনের সাথে আমরা জড়িত আছি।
আরও একজন জানান, এরকম বড় একটি দুর্গাপূজার স্থান পেয়ে আমরা খুবই খুশি।
সাতটি প্রদেশের প্রায় ১০টি স্থানে দুর্গাপূজা উদযাপনে ৫ দিনের অনুমতি দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। গত বছরের তুলনায় এবার কলকাতা থেকে এসেছে আরও বড় প্রতিমা। দেশটির বিভিন্ন প্রদেশ থেকে প্রতিদিন হাজারো প্রবাসী উপস্থিত হচ্ছেন পূজামণ্ডপগুলোয়।
ইউএই প্রবাসী সনাতনী ঐক্য পরিষদের সভাপতি অজিত কুমার রায় বলেন, ‘গত বছর আমরা দেখেছি প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার লোকের সমাগম ঘটেছিল। এবারও আশা করছি অনেক দর্শনার্থীতে মুখরিত হবে পূজা মণ্ডপ।’
পূজার দুই মাস আগে থেকেই শুরু হয় প্রস্তুতি। দেশটির বিভিন্ন বিভাগে থাকা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভাগ করে দেয়া হয় কর্মপরিকল্পনা। যে কারণে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র আমিরাতে।
ইউএই প্রবাসী সনাতনী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার সরকার বলেন, ‘এখানে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে আমন্ত্রণ। যে কেউ এসে এখানে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারে। মধ্যেপ্রাচ্যের সবথেকে বড় দুর্গাপূজা আয়োজন করেছি।’
পূজামণ্ডপের পাশেই বসানো হয়েছে অস্থায়ী কিছু স্টল। এসব স্টলে চলছে খাবার ও মিষ্টান্নের জমজমাট বেচাকেনা। দর্শনার্থীদের চাহিদা মতো পণ্যের যোগানও রয়েছে এখানে।
ব্যবসায়ীদের মধ্যে একজন জানান, ব্যবসা না আসলে একটা আনন্দের মুহূর্তের জন্য একটা স্টল আমরা দাঁড় করিয়েছি।
১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এই উৎসব। এ বছর দেবীদূর্গা এসেছেন দোলায়, যাবেন ঘোড়ায় চড়ে।